মাথায়-মনে এখনো মেরেই সুশিক্ষিত করার চিন্তা

শিক্ষার্থীদের ওপর শারীরিক ও মানসিক ‘নির্যাতন’ বন্ধে সরকার বিভিন্ন সময় পরিপত্র ও নির্দেশনা জারি করে। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনো সেগুলো উপেক্ষিত।

  • শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের কথা চাউর হলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তকে গা ঢাকা দিতে সহায়তা করে।

  • শিশু নির্যাতন যে একটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ, সে বিচার-বিবেচনা মাথায়-মনে কোথাও ঠাঁই পায় না।

  • হাইকোর্ট দেশের সব স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় নির্যাতন বন্ধে উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়েছিলেন।

এখনকার শিশুদের শৈশব থাকতে থাকতেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্ধ হোক শিশু নির্যাতন। পাঠদান হোক আনন্দময়
ফাইল ছবি

ওমানপ্রবাসী বাবা তাঁর ছেলেসন্তানকে নিয়মশৃঙ্খলার মধ্যে লালন–পালন করতে চেয়েছিলেন। চেয়েছিলেন, সন্তানের ধর্ম–কর্মে মতি হোক। তাই তাকে মাদ্রাসায় ভর্তি করেন। মাত্র ১২ বছরের এই শিশুটি ওস্তাদের বেঁধে দেওয়া সময়ে সহপাঠীদের সঙ্গে খেলছিল।

সহপাঠীদের সঙ্গে খেলার সময় সে জোরে কথা বলছিল। সেটাই তার কাল হলো। তার শিশুসুলভ আচরণ সহ্য হয়নি কাছেই দাঁড়িয়ে থাকা ওস্তাদের। তিনি শিশুটিকে বেধড়ক পেটাতে থাকেন, একপর্যায়ে তাকে তুলে আছাড় মারেন। শিশুটি জ্ঞান হারায়। গত ১৪ মে সকালে ফেনীর ছাগলনাইয়ার চাঁদগাজী বটতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শিশুটির তড়িত জ্ঞান ফিরলে আর মারের চোট গুরুতর এবং ‘দৃশ্যমান’ না হলে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ‘ম্যানেজ’ করে ফেলত, যেমন এসব ঘটনায় সচরাচর হয়ে থাকে। এখানেও যে সে চেষ্টা হয়নি, সেটি বলা যাবে না।

নির্যাতনকারী শিক্ষক নিজেই মারের ঘটনা কাউকে জানালে শিশুটিকে জানে শেষ করে ফেলবেন বলে হুমকি দেন—এমন অভিযোগ রয়েছে। তবে মারধরের ১৩ দিন পরও তার মাথা ও বুকে ব্যথা থাকায় শিশুটির মা ছেলেকে উদ্ধার করে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করান। এদিকে কর্তৃপক্ষ নির্যাতনকারী শিক্ষককে ছুটি দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।

সংবাদকর্মীরা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে জেঁকে ধরলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। বলেন, ‘বিষয়টি দুঃখজনক। অভিযুক্ত শিক্ষক বাড়িতে চলে গেছেন। আমরা ওই ছাত্রের অভিভাবকদের সঙ্গে কয়েক দফায় যোগাযোগ করে অনুতাপ ও দুঃখ প্রকাশ করেছি। আমরা সব ধরনের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের আশ্বাস দিয়েছি। ওই শিক্ষককে বাড়ি থেকে আনার চেষ্টা করছি।’ প্রধান শিক্ষক দাবি করেন, ঘটনার সময় সিসি ক্যামেরা বন্ধ ছিল।

চলতি বছরের মার্চে রাজধানীর ফার্মগেটে ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে এক বন্ধুকে দেখতে যাই। সেখানে যশোরের মনিরামপুর থেকে আসা এক কিশোরের সঙ্গে পরিচয় হয়। পবিত্র কোরআনের ১৫ পারা ইতিমধ্যে মুখস্ত করেছে সে। দুচোখ বন্ধ করে সুললিত কণ্ঠে সে তিলাওয়াত করছিল। বাঁ চোখে ভারী ব্যান্ডেজ। কীভাবে এমন হলো? তার অভিভাবকের ভাষ্য থেকে জানা গেল, আগে থেকেই চোখের সমস্যায় ভুগছিল শিশুটি।

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, তাকে চোখে চশমা পরতে হয়। এরপরও একনাগাড়ে না পড়ে চোখকে বিশ্রাম দিয়ে তাকে থেমে থেমে পড়তে বলেছিলেন চিকিৎসক। ঘটনার দিন সে থেমে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করছিল। একপর্যায়ে পড়া থামানোয় ওস্তাদ তাঁকে ডেকে মারধর করেন। শিক্ষকের বেতের আঘাতে চশমার কাচ ভেঙে চোখে ঢুকে যায়। ঘটনার নৃশংসতা আর তার পরিণাম অনুধাবন করে কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষককে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে।

সবাই পালাতে পারেন না

গত ৪ মার্চ শিক্ষকের বেদম মারধরে আহত এক ছাত্রকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ময়মনসিংহ নগরের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের চায়না মোড় এলাকার একটি প্রতিষ্ঠানের এই শিক্ষার্থী সকাল ছয়টায় শিক্ষকের মারধরের শিকার হলেও পরিবারের কাছে খবর পৌঁছায় বিকেল পাঁচটায়। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়, পড়া দিতে না পারায় তাকে সামান্য বকাঝকা করা হয়েছে। তবে তার শরীরে ক্ষত আর দাগ কেবল বকাঝকার সাক্ষ্য দিচ্ছে না।

শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের মারধরের পর শিক্ষকেরা বলেন, ‘ওই ছেলের বাবা-মাকে মারপিটের খবর জানালে তোরা সবাই জাহান্নামে যাবি।’ তবে শিক্ষকদের এই ভয় শেষ পর্যন্ত কাজ করেনি। শিক্ষার্থীরা সত্য কথা বলে দেয়। পড়া দিতে না পারায় সকাল ছয়টার দিকে শিক্ষক ওই ছাত্রকে মারধর করেন। বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা ব্যর্থ হলে আর নির্যাতিত ছাত্রের অবস্থার অবনতি হলে পরিবার বিষয়টি জেনে যায়। বিকেল পাঁচটার দিকে ওই ছাত্রের বাবা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। সেই মামলার সূত্র ধরে পুলিশ নির্যাতনকারী শিক্ষককে আটক করে।

আটক হলেও মুক্তি পেয়ে যান

নির্যাতনের কথা চাউর হওয়ার পর প্রতিবাদ–বিক্ষোভ চাঙা হলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ নির্যাতনের অভিযোগ ওঠা শিক্ষককে গা ঢাকা দিতে সহায়তা করে। ছুটি দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় তারা। তারপর শুরু হয় আপসের আলোচনা। আম-ছালা রক্ষার এই কূটকৌশল শিশু নির্যাতনের আরেক রূপ। তাতে বিচারহীনতার চর্চার পালে হাওয়া লাগে। শিশু নির্যাতন যে একটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ, সে বিচার-বিবেচনা মাথায়–মনে কোথাও ঠাঁই পায় না।

গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে দশম শ্রেণির ছয় ছাত্রকে শ্রেণিকক্ষের বাইরে এনে এলোমেলোভাবে চুল কেটে দেন আর মারধর করেন এক শিক্ষক। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এই নির্যাতন ও শিক্ষার্থীদের হেয় করার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রতিবাদ–বিক্ষোভ শুরু হয়। কয়েকজন অভিভাবক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কাছে প্রতিকার চান, মামলা করেন। প্রতিবাদের মুখে ওই শিক্ষককে পুলিশ উপজেলার বামনী ইউনিয়নের কাজির দীঘিরপাড় এলাকা থেকে আটক করে। সপ্তাহ দুয়েক পরে তাঁকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।

জানা যায়, বাদীদের আপত্তি না থাকায় আদালত তাঁকে জামিন দেন। কোন জাদুতে বাদীরা চুপ হয়ে যান, সালিস আর আপসের কোন বেড়াজালে পড়ে শিশুদের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দেন অথবা দিতে বাধ্য হন—সেটিও খতিয়ে দেখতে হবে। টাকাপয়সা দিয়ে আপস, ভয়ভীতি দেখিয়ে আপস, বাস্তবতা মেনে নিয়ে সমাজে টিকে থাকার উপায় হিসেবে আপস এখন সাধারণ ঘটনা।

শুধু যে প্রাথমিক বা মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের মতো ঘটনা ঘটছে, তা নয়। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও এমন ঘটনা ঘটছে। তবে এই নির্যাতনের রূপ একটু ভিন্ন। সম্প্রতি হলে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক সংগঠনের কর্মীদের নির্যাতনের শিকার হন এক শিক্ষার্থী। ওই ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রস্তাব করেন আবাসিক হলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন শিক্ষক।

নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীকে ন্যায়বিচার দিতে গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য ওই শিক্ষক তাঁকে নির্যাতনকারীদের সঙ্গে আপসের প্রস্তাব দেন। নির্যাতনকারীর শাস্তি নয়, বরং নির্যাতিত শিক্ষার্থীর ‘সার্বিক মঙ্গলের’ জন্য আপস করে ‘পাপোশে’র জীবনযাপন অধিক বাস্তবসম্মত বলে মনে হয়েছে ওই শিক্ষকের। এমন নির্যাতনবান্ধব শিক্ষক, সমাজপতি, প্রতিনিধির অভাব নেই।

শুধু শারীরিক নয়, চলে মানসিক নির্যাতনও

শারীরিক নির্যাতনের বাইরে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার অজুহাতে ‘বশে’ রাখার তাড়নায় শিশুকে, শিক্ষার্থীকে নানাভাবে হেনস্তা করতে দেখা যায়। সম্প্রতি এমন এক পরিস্থিতি সামাল দিতে খোদ প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। ঘটনাটি ময়মনসিংহের ফুলবাড়ী পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের।

প্রায় দুই বছর পর স্কুল খুললে আনন্দে অনেকেই স্কুলের নির্ধারিত পোশাক ছাড়াই বিদ্যালয়ে যায়। দুই বছর আগের পোশাক অনেকেরই গায়ে লাগে না। কিন্তু অর্থসংকটের কারণে অনেকের অভিভাবক সন্তানের পোশাক বানিয়ে দেওয়ার মতো অবস্থায়ও ছিলেন না। কারণ, করোনায় অনেকেই আর্থিক টানাপোড়েনের মধ্যে ছিলেন।

এসব আমলে না নিয়ে শিক্ষার্থীদের অপমানজনক কথা শুনিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়। এর মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ছিল থ্যালাসেমিয়ার রোগী। যারা এমন শিশুদের জানেন, তাঁরা বুঝবেন কী মানসিক আর আর্থিক সংকটে অনিশ্চয়তার দোলাচলে তাদের দিন কাটে।

ওই শিক্ষার্থীর বাবা সন্তানের চিকিৎসায় ইতিমধ্যেই তাঁর শেষ সম্বল বাড়িটিও বিক্রি করে দিয়েছেন। বিষয়টি শিক্ষকেরাও জানতেন। তারপরও শিশুটিকে ছাড় দেননি তাঁরা। প্রধান শিক্ষক বলেছেন, তাঁরা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুসরণ করেছেন মাত্র।

ঘটনাটি প্রধানমন্ত্রীর নজরে এলে তিনি প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক স্কুলড্রেস আর চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে ওই শিক্ষার্থীর বাড়ি যান। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। তিনি নির্দেশনার মাধ্যমে মানবিক ও শিশুবান্ধব হওয়ার যে বার্তাটি দিতে চেয়েছেন, সেটি কি আমরা বুঝতে পেরেছি?

সরকারি পরিপত্র ও নির্দেশনা উপেক্ষিত

জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০-এ পরিষ্কার বলা আছে, ‘শিক্ষার কোনো স্তরেই শিক্ষার্থীরা যেন কোনোভাবেই শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের মুখোমুখি না হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।’ বলা হয়েছে, শিক্ষার সব স্তরের জন্য পৃথক কমিটি গঠন করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর জন্য আচরণবিধি তৈরি করা হবে। তবে নীতিমালা প্রণয়নের পর অনেক বছর পার হলেও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ এখনো চোখে পড়ে না।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিশু নির্যাতন বন্ধে ২০১০ সালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র এবং ২০১১ সালে সরকার একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে। তা ছাড়া শিশু আইন, ২০১৩ সালের শিশু আইনের ৭০ ধারা অনুসারে, শিশুর শারীরিক ও মানসিক ক্ষতিসাধন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এসব আইন ও নিয়মনীতি থাকার পরও যথাযথ প্রয়োগ ও সচেতনতার অভাবে বাস্তব চিত্র অনেকটাই ভিন্ন। করোনা মহামারিকালে ও পরবর্তী সময়ে তা ক্রমশই গভীর সংকটের দিকে যাচ্ছে।

গত বছরের ৪ নভেম্বর হাইকোর্ট দেশের সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বন্ধে উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই পর্যবেক্ষণ দেন। শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন বন্ধে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে গণমাধ্যমকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে বলেও মন্তব্য করেন আদালত।

আইন শেষ কথা নয়

সতীদাহ প্রথা, বিধবা বিবাহ, বাল্যবিবাহ–সংক্রান্ত আইন রাষ্ট্রের ইচ্ছার একটি বয়ানমাত্র। মানুষের ইচ্ছা, সমাজের ইচ্ছা, ব্যক্তিগত বিশ্বাস আর সংস্কার সব সময় আইনের পানি দিয়ে ধোয়া যায় না। আমরা এখনো বিশ্বাস করি, ‘মারের ওপর ওষুধ নাই’।

২০১৬ সালে একটি মানবাধিকার ও আইন সহায়তা প্রতিষ্ঠানের এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের ৬৯ শতাংশ অভিভাবক মনে করেন, নিয়মানুবর্তিতার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিশুদের শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন। ৫৫ শতাংশ মনে করেন, শিশুদের সুপথে নিতে শাস্তি সহায়ক। ২৭ শতাংশ মনে করেন, শাস্তি না দিলে শিশুরা বখে যায় এবং ২৫ শতাংশ মনে করেন, শাস্তি দিলে শিশুরা শিক্ষকদের কথা শুনবে।

ছয় বছর পর ২০২২ সালে এই চিন্তায় কি দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন এসেছে? আমাদের অনেকটা পথ হাঁটতে হবে। তবে দমে দমে নয়, একদমে দ্রুততার সঙ্গে। এখনকার শিশুদের শৈশব থাকতে থাকতেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্ধ হোক শিশু নির্যাতন।

লেখক ও গবেষক ই–মেইল: [email protected]