মাদকমুক্ত বাংলাদেশ চাই

অতিথিদের সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের সদস্যরা। গতকাল কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় ষ ছবি: প্রথম আলো
অতিথিদের সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের সদস্যরা। গতকাল কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় ষ ছবি: প্রথম আলো

যুক্তিতে মুক্তি—এই প্রতিপাদ্য নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে পেপসোডেন্ট-প্রথম আলো জাতীয় স্কুল বিতর্ক উৎসব-২০১৩। উৎসবে শিক্ষার্থীরা হাত তুলে বলে, আমরা দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত বাংলাদেশ চাই। আমরা সন্ত্রাস ও ইভ টিজিংকে সব সময় ‘না’ বলি।
সকাল ১০টায় উৎসব উদ্বোধন করেন কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নাছির উদ্দিন। বক্তব্য দেন মহেশখালী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নাজিম উদ্দিন, রামু বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মং হ্লা প্রু পিন্টু, প্রভাতী শিক্ষা নিকেতনের শিক্ষক দীপক শর্মা প্রমুখ।
মো. নাছির উদ্দিন বলেন, সমাজের অন্ধকার দূর করতে হলে তরুণসমাজকেই এগিয়ে আসতে হবে। প্রথম আলোর এই বিতর্ক উৎসব তরুণসমাজকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করছে। দিনব্যাপী এই বিতর্ক উৎসবে কক্সবাজার সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় ও ঈদগাহ আদর্শ শিক্ষা নিকেতন চূড়ান্ত পর্বে ওঠে।

ইন্টারনেট-ফেসবুকের কারণে বই পড়ার অভ্যাস কমে গেছে—এ প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে কক্সবাজার সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় বিজয়ী হয়। সেরা বিতার্কিক হয়েছে কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের আমিনা আতিক।

বিজয়ী ও বিজিত (রানার্সআপ) দলকে মেডেল ও ট্রফি দেন কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম ফজলুল করিম চৌধুরী। সেরা বিতার্কিককে দেওয়া হয় ক্রেস্ট। বিজয়ী দল ঢাকার জাতীয় উৎসবে অংশ নেবে।

ফজলুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘আজকে তোমরা যুক্তি দিয়ে ভালোটাকে সমাজে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চালিয়েছ। সমাজের অন্ধকার ও দুর্নীতি দূর করতে হলে ঘরে ঘরে সত্যের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করতে হবে।’

আমিনা আতিক বলে, ‘ভালো প্রস্তুতি ছিল না বলে চ্যাম্পিয়ন হতে পারিনি। বিতর্কচর্চা আরও বাড়িয়ে দেব।’ পেপসোডেন্ট-প্রথম আলোর এই বিতর্ক উৎসব অব্যাহত রাখার দাবি জানায় সে। এই পর্বে আরও বক্তব্য দেন জ্যেষ্ঠ বিতার্কিক মাজেদ আযাদ ও শাকিল মাহবুব। অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনায় ছিল প্রথম আলো বন্ধুসভা ও এবিসি রেডিও। সঞ্চালনা করেন ইব্রাহিম খলিল।

উৎসবে অংশ নেয় জেলার ১১টি বিদ্যালয়। এগুলো হলো কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, কক্সবাজার সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়, মহেশখালী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ঈদগাহ আদর্শ শিক্ষা নিকেতন, রামু বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, রামু খিজারী আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়, উখিয়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়, চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চবিদ্যালয়, চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ, বায়তুশশরফ জব্বারিয়া একাডেমি ও কক্সবাজার কেজি অ্যান্ড মডেল হাইস্কুল।

৪ অক্টোবর, শুক্রবার

খুলনা ও সাতক্ষীরা

স্থান: সেন্ট যোসেফ উচ্চবিদ্যালয় খুলনা

এবং

রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ

স্থান: রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ

৬ অক্টোবর, রোববার

বরিশাল, ঝালকাঠি ও ভোলা

স্থান: বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়

 খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান

স্থান: রাঙামাটি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়

 ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও দিনাজপুর

স্থান: দিনাজপুর শিল্পকলা একাডেমী

//