মাদকের পরিমাণ নিয়ে অসংগতি, দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে তলব
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের এক মামলায় মাদকের পরিমাণ নিয়ে তথ্যে অসংগতির বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। ২৩ আগস্ট তাঁদের আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
ওই মামলার একমাত্র আসামি মো. শাহিন মিয়ার জামিন আবেদনের শুনানিতে উদ্ধার করা মাদকের পরিমাণ নিয়ে তথ্যে অসংগতির বিষয়টি নজরে এলে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। পরবর্তী আদেশের জন্য ২৩ আগস্ট দিন রাখা হয়েছে।
দুই কর্মকর্তা হলেন আশুলিয়া থানার সাবেক উপপরিদর্শক মো. মিরাজ হোসেন (বর্তমানে শরীয়তপুরের শখিপুর থানায় কর্মরত) এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কায়সার হামিদ।
ওই মামলায় নিম্ন আদালতে বিফল হয়ে জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন শাহিন। আদালতে শাহিনের পক্ষে আইনজীবী মো. মতিউর রহমান শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান।
পরে মো. মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মামলার এজাহারে মাদকের (হেরোইন) পরিমাণ ১০ গ্রাম উল্লেখ রয়েছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) রাসায়নিক রিপোর্টে ৭১ দশমিক ২৫ গ্রাম মাদকের কথা রয়েছে। বিষয়টি নজরে এলে হাইকোর্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ দুই কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা জানাতে ২৩ আগস্ট বেলা ১১টায় আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন।
আইনজীবী সূত্রের তথ্যমতে, গত বছরের ১৮ জুলাই শাহিনকে মাদকসহ আটক করা হয়। সেদিনই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তাঁর বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মামলা হয়। এ মামলায় গত বছর ২০ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। মামলাটি ঢাকার অতিরিক্তি দায়রা জজ আদালত-২–এ বিচারাধীন।