মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত জুডিশিয়াল হেফাজতে রাখার আদেশ

মাহমুদা খানম মিতু
ছবি: সংগৃহীত

সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম হত্যা মামলার যাবতীয় আলামত জুডিশিয়াল হেফাজতে রাখার আদেশ দিয়েছেন আদালত। বাবুল আক্তারের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমান এ আদেশ দেন।

বাবুলের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, স্ত্রী খুনের ঘটনায় বাবুলের করা হত্যা মামলায় পিবিআই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। তাঁকে মামলার আসামি করে শ্বশুর বাদী হয়ে নতুন করে হত্যা মামলা করে। কিন্তু আগের মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ১৬৪, ১৬১ ও বিভিন্ন আলামত রয়েছে, যা গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো বেহাত হতে পারে এই আশঙ্কায় পুলিশি হেফাজতে না রেখে জুডিশিয়াল হেফাজতে রাখার আবেদন করা হয়। আদালত তা মঞ্জুর করেন।
এদিকে একই আদালতে মামলার বিভিন্ন কাগজপত্রের অনুলিপি বাবুলের আইনজীবীকে দেওয়ার নির্দেশ দেন।

২০১৬ সালের ৫ জুন বড় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় মাহমুদাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। মাহমুদা হত্যাকাণ্ডের পর বাবুল বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। ডিবির পর গত বছরের মে মাস থেকে মামলাটি তদন্ত শুরু করে পিবিআই। চলতি বছরের ১২ মে এ মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পিবিআই। এতে বলা হয়, তিন লাখ টাকা দিয়ে স্ত্রীকে খুন করান বাবুল।

একই দিন (১২ মে) বাবুলের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে বাবুলসহ আটজনকে আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় বাবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বাবুলকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বাবুলকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আদালতে হাজির করা হয়। কিন্তু তিনি জবানবন্দি দিতে রাজি হননি। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ১৭ মে থেকে কারাগারে আছেন বাবুল।

বাবুলের করা মামলায় পিবিআই দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি গ্রহণের শুনানির জন্য আগামী ১৪ অক্টোবর দিন ধার্য রয়েছে। এ ছাড়া বাবুলকে আসামি করে শ্বশুরের করা মামলাটি পিবিআই বর্তমানে তদন্ত করছে।