মামলা স্থগিত চেয়ে করা আবেদন সরাসরি খারিজ

বিশ্বজিত্ দাস হত্যা মামলায় ছয় আসামির ক্ষেত্রে অভিযোগ পরিবর্তন ও মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীম ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে ভ্রান্ত ধারণা থেকে আবেদন করায় আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ শাহ আলমকে এক হাজার টাকা খরচা জমা দিতে বলা হয়েছে।

ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ ওই মামলার বিচার কার্যক্রম চলছে। তবে চার্জ সংশোধন চেয়ে ছয় আসামির ওই আদালতে আবেদন করলে ২৭ অক্টোবর তা খারিজ হয়। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন ছয় আসামি।

এঁরা হলেন—জি এম রাশেদুজ্জামান শাওন, রফিকুল ইসলাম শাকিল, মাহফুজুর রহমান নাহিদ, এ এইচ এম কিবরিয়া, কাইয়ুম মিয়া টিপু ও সাইফুল ইসলাম সাইফুল। আদালত সূত্র জানায়, এই আবেদনে চার্জ সংশোধন ও মামলার কার্যক্রম স্থগিতের আরজি জানানো হয়।

আবেদনের পক্ষে রয়েছেন আইনজীবী সৈয়দ শাহ আলম। রাষ্ট্রপক্ষে সরদার মোশাররফ হোসেন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল গাজী মো. মামুনুর রশীদ। পরে গাজী মো. মামুনুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, সব সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন আসামিদের সাফাই সাক্ষীর জন্য অপেক্ষমাণ। এখন এ ধরনের আবেদন ভ্রান্ত ধারণাপ্রসূত হওয়ায় আদালত তা সরাসরি খারিজ করে আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ শাহ আলমকে এক হাজার টাকা খরচা দিতে বলেছেন।

তবে সৈয়দ শাহ আলম বলেন, অভিযোগ পরিবর্তন চেয়ে ছয়জনের একটি রিভিশন আবেদন ছিল। অন্য আদালতে থাকায় তিনি আজকে আদালত কী বলেছেন সে সম্পর্কে জানেন না।
গত বছরের ৯ ডিসেম্বর বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচি চলার সময় পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা কুপিয়ে ও পিটিয়ে নিরীহ পথচারী বিশ্বজিত্ দাসকে হত্যা করে। এ মামলায় ৫ মার্চ ছাত্রলীগের ২১ জন কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অভিযোগপত্রভুক্ত ২১ আসামির মধ্যে আটজন কারাগারে এবং বাকিরা পলাতক আছেন।