মিল্ক ভিটায় তালিকাভুক্তি নিয়ে অনিয়ম, বিক্ষোভ

অস্থায়ী শ্রমিকদের তালিকাভুক্তি নিয়ে বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়নে (মিল্ক ভিটা) অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। শ্রমিকদের তালিকাভুক্ত করতে ঘুষ নেওয়া এবং অনিয়মের অভিযোগ তুলে গতকাল বৃহস্পতিবার মিল্ক ভিটার শ্রমিকেরা সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় এবং মিরপুর দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত কারখানায় বিক্ষোভ করেছেন। সকাল নয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত দুধ উৎপাদন বন্ধ রাখেন শ্রমিকেরা।
গতকাল রাজধানীর তেজগাঁও প্রধান কার্যালয় এবং মিরপুর কারখানায় গেলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা জানান, মিল্ক ভিটা কর্তৃপক্ষ গত বুধবার ৫০০ অস্থায়ী শ্রমিকের নাম তালিকাভুক্ত করে চিঠি দিয়েছে। শ্রমিকদের অভিযোগ, তালিকাভুক্ত করতে প্রত্যেক শ্রমিকের কাছ থেকে এক থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গত বছরের আগস্টে মিল্ক ভিটার ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুর রহমানকে প্রধান করে সাত সদস্যের নিয়োগ কমিটি করে দেন তৎকালীন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। গত মার্চে সমবায় অধিদপ্তর থেকে মিল্ক ভিটা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়, নিয়োগ কমিটির সুপারিশ ব্যবস্থাপনা পরিচালক যাচাই-বাছাই করে শ্রমিকদের তালিকাভুক্ত করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
মন্ত্রণালয় এবং সমবায় অধিদপ্তর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, ২০০০ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত যাঁরা মিল্ক ভিটায় অস্থায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করেছেন, তাঁদের নাম তালিকাভুক্ত করে চিঠি দেওয়া হবে। কিন্তু নিয়োগ কমিটি গত বুধবার যে ৫০০ শ্রমিকের নাম চূড়ান্ত করে চিঠি জারি করেছে, তা ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য না পাঠিয়েই চূড়ান্ত করা হয়েছে।
মিল্ক ভিটা শ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি আহাদ আনসারী বলেন, ১৫০ জন শ্রমিকের নাম তালিকায় রয়েছে, যাঁরা ২০০৮-এর পর মিল্ক ভিটায় কাজ শুরু করেছেন। অনেকে আবার কোনো দিন মিল্ক ভিটায় কাজই করেননি।
তবে মিল্ক ভিটার চেয়ারম্যান হাসিব খান বলেন, দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত কারখানাগুলো থেকে তালিকা দেখে নিয়োগ কমিটি যাঁদের নাম সুপারিশ করেছে, তাঁদেরকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। যাঁদের নাম বাদ গেছে, তাঁদেরকেও পর্যায়ক্রমে তালিকাভুক্ত করা হবে।
মিল্ক ভিটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী এ ব্যাপারে প্রথম আলোকে বলেন, শ্রমিকদের তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে কোনো অনিয়ম হলে তা যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে।