মেয়াদ শেষের আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি

নির্বাচন কমিশন
নির্বাচন কমিশন

সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তবে তফসিল ঘোষণার আগে কমিশন এ বিষয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করবে।সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সে ক্ষেত্রে ২৭ অক্টোবর থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা একে সংবিধান নির্দেশিত প্রথম বিকল্প বলছেন। তবে কোনো কারণে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে সংসদ ভেঙে গেলে, ভেঙে যাওয়ার দিন থেকে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। একে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা নির্বাচন অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় বিকল্প বলছেন।নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সূত্র জানায়, দ্বিতীয় বিকল্প নিয়ে চিন্তাভাবনা আপাতত কমিশনের নেই। তবে প্রথম বিকল্প অনুযায়ী নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে তাদের।জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, সংবিধানের হিসাব অনুযায়ী নির্বাচন জানুয়ারিতে হওয়ার কথা। সে ক্ষেত্রে কমিশন সচিবালয় থেকে তফসিল নির্ধারণের প্রস্তাব উত্থাপন করা হলে, কমিশন সেটা বিবেচনায় নিয়ে তফসিল নির্ধারণ করবে। এই কমিশনার বলেন, পাশাপাশি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার বিষয়টি নিয়েও কমিশন ভাবছে। সব দল নির্বাচনে এলে তাদের সঙ্গে পরামর্শ করেই তফসিল নির্ধারণ করা হবে।কমিশন সচিবালয় সূত্র জানায়, নির্বাচনের সম্ভাব্য তফসিল নির্ধারণের জন্য তারা অচিরেই শিক্ষা অধিদপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করবে। তফসিল ঘোষণার আগে ও পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যাতে কোনো পরীক্ষা না রাখা হয়, সে জন্য এই বৈঠক হবে। পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী নভেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক ও জুনিয়র শিক্ষা সমাপনী এবং বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হবে। সে ক্ষেত্রে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করে জানুয়ারির দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় সপ্তাহের যেকোনো ভোট গ্রহণের দিন ধার্য করা যেতে পারে বলে কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তারা মনে করেন। অতীতে সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের জন্য ‘বৃহস্পতিবার’ উপযুক্ত দিন হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদের কাজের সুবিধার জন্য এবারও বৃহস্পতিবারই প্রাধান্য পাবে।গত বৃহস্পতিবার কমিশন সচিবালয়ের সচিব মোহাম্মদ সাদিক প্রথম আলোকে একই আভাস দিয়ে বলেছেন, জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহের যেকোনো দিন নির্বাচন হতে পারে। সূত্রমতে, এই হিসাব মাথায় রেখেই কমিশন সচিবালয় থেকে সম্ভাব্য তফসিল নির্ধারণের কাজ চলছে। শিক্ষা অধিদপ্তরের সঙ্গে বৈঠকের পরপরই সম্ভাব্য তফসিল কার্যপত্র আকারে কমিশনের কাছে উত্থাপন করা হবে।