মৌচাক মার্কেট ৬ সপ্তাহ খোলা রাখা যাবে

রাজধানীর মালিবাগের মৌচাক মার্কেটের দোকানপাট ছয় সপ্তাহ খোলা রাখতে পারবে বলে আদেশ দিয়েছেন চেম্বার আদালত। গতকাল সোমবার এই মার্কেট বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে মৌচাক মার্কেট বণিক সমিতি আজ মঙ্গলবার চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করে। আদালত আদেশে বলেছেন, ছয় সপ্তাহের জন্য মার্কেট খোলা রাখা যাবে। তবে এর মধ্যে কিছু ঘটলে দায় দায়িত্ব তাদের।

গতকাল হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সুপারিশ অনুযায়ী সংস্কারের পর এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সক্ষমতা সনদ না পাওয়া পর্যন্ত মার্কেটের দোকানপাট বন্ধ রাখতে হবে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

মৌচাক মার্কেটের ভবনটি নিয়ে বুয়েটের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ মে রাজউক মার্কেট কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠি দেয়। এতে ভবনটির ঝুঁকির কথা জানিয়ে ভবনটি সংস্কার করতে বলা হয়। পরে রাজউকের ওই চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ভবনমালিক আশরাফ কামাল পাশা হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।

ঢাকার মালিবাগ এলাকায় মধ্যবিত্তের জনপ্রিয় মৌচাক মার্কেটে কয়েক শ বিভিন্ন পণ্যের দোকান রয়েছে। কিন্তু ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ২০১৪ সালের ৭ মে রাজউক মৌচাক মার্কেটের ভবনমালিককে একটি চিঠি দেয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, ইমারতটি জীর্ণ ও দৃশ্যত ঝুঁকিপূর্ণ মনে হওয়ায় বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগকে দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে কাঠামোগত উপযুক্ততার সনদ দাখিল করার অনুরোধ করা হলো। একই সঙ্গে ভবনটির কাঠামোগত উপযুক্ততা নিশ্চিত হয়ে ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হলো।

রাজউকের চিঠি পাওয়ার পর বুয়েট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন রাজউকে দাখিল করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজউক গত ২ মে ভবনমালিককে আরেকটি চিঠি দিয়ে বলে, বুয়েটের কাঠামোগত মূল্যায়ন প্রতিবেদনের পরামর্শ ও কর্তৃপক্ষের ওই নির্দেশনা সত্ত্বেও কাঠামোগত ঝুঁকি হ্রাসে ব্যবস্থা না নিয়ে দায়িত্বহীনভাবে মার্কেট ব্যবহার অব্যাহত রাখা হয়েছে, যা জীবন ও সম্পদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং ১৯৫২ সালের ইমারত নির্মাণ আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ অবস্থায় মার্কেটটির ব্যবহার বন্ধ করে বুয়েট প্রণীত নকশা মোতাবেক বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীর তত্ত্বাবধানে অবিলম্বে সংস্কারকাজ শুরু করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। কাঠামোগত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ব্যবহারের জন্য যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে ভবনের মালিক ও তাঁর ব্যবস্থাপনা দায়ী থাকবে। এ জন্য ইমারত নির্মাণ আইন অনুসারে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।