মোটরসাইকেলে দূরপাল্লার যাত্রী পরিবহন নিষিদ্ধের দাবি

ঈদ যাতায়াতের উন্নয়ন নিয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে নাগরিক পর্যবেক্ষণ কমিটি
ছবি: প্রথম আলো

মোটরসাইকেলে গত ঈদুল ফিতরের সময় দূরপাল্লার যাত্রী পরিবহন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নাগরিক পর্যবেক্ষণ কমিটি। আশঙ্কাজনক হারে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় মোটরসাইকেলে দূরপাল্লার যাত্রী পরিবহন নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

আজ সোমবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নাগরিক পর্যবেক্ষণ কমিটি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঈদযাত্রা পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এ সময় প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক আশীষ কুমার দে। কমিটির পক্ষ থেকে সড়ক, নৌ ও রেলপথের উন্নয়নে ২৫টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

এ সময় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নৌযান ও নৌযন্ত্র কৌশল বিভাগের অধ্যাপক মীর তারিক আলী বলেন, ‘ঈদের সময় কত মানুষ ঢাকা ছাড়ে, তার সঠিক হিসাব নেই। এ সময়ের যানবাহনের সক্ষমতারও সঠিক হিসাব নেই। যত যানবাহন রয়েছে তত চালক নেই, অথচ সব যানবাহনই চলছে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঈদের সময় ঘরমুখী মানুষ কোনো না কোনোভাবে বাড়িতে ফিরেছেন। পিকআপ-ট্রাকে করেও গেছেন অনেকে। ইদানীং তাতেও হচ্ছে না, অনেকে মোটরসাইকেলে করে গিয়েছেন। রিকশার জায়গা মোটরসাইকেল দখল করেছে। দুর্যোগে বড় নৌযান বন্ধ রাখলেও ছোট ছোট নৌযান দিয়ে যাত্রী পরিবহন করা হয়। যাত্রীদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হলে গণমাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচারণা বাড়াতে হবে।

আলোচকের বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ‘নাগরিক সুবিধা নিয়ে রাজনৈতিক দলের নেতাদের মাথাব্যথা নেই। কোন দল ক্ষমতায় যাবে, কোন দল ক্ষমতায় থাকবে—এই আলোচনাই নিত্যদিন আমাদের শুনতে হয়। সড়কে এত দুর্ঘটনা, সড়কের মন্ত্রী ঘরের মধ্যে বসে থাকেন। তাঁর তো বহু আগেই এ পদ ছেড়ে দেওয়া উচিত ছিল। তার পক্ষে কুলোচ্ছে না।’

অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস আরও বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় বছরে কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষ মারা যায়। এটি দুর্ঘটনা নয়, এটিকে দুর্যোগ বলা হয়। নৌপথে নৌযান ডুবে যেতে পারে। আগুন কীভাবে লাগে? এগুলো মানুষের দেখার কথা নয়। রাষ্ট্র কোথায়? সরকার কোথায়? আমাদের করের টাকায় তাঁদের বেতন দেওয়া হয়। ঘুমানোর জন্য? এই মৃত্যুর দায় তো তাঁদের নিতে হবে।’