মৌখিক পরীক্ষায় বাড়তি টাকা আদায়ের অভিযোগ

খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের মৌখিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ জন্য তাঁদের দাপ্তরিক কোনো রসিদ দেওয়া হচ্ছে না।
কলেজ-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের চতুর্থ বর্ষ (সম্মান) শিক্ষার্থীদের লিখিত পরীক্ষা গত ২৯ জানুয়ারি শেষ হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁদের মৌখিক পরীক্ষা হয়েছে। ওই দিন বিভাগের ১০১ জন শিক্ষার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষার বোর্ডে বহিরাগত (এক্সটার্নাল) পরীক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুজন।
কয়েকজন পরীক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে এই মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। কলেজের মূল ভবনে মেয়েদের দুই ভাগে ভাগ করে আলাদা জায়গায় মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়। পরীক্ষা শুরুর আগে বিভাগের একটি কক্ষে পরীক্ষার্থীদের ডেকে তাঁদের নিজ নিজ নিবন্ধন নম্বর বলে ১০০ টাকা করে জমা দিতে বলা হয়। কানিজ লায়লা নামের একজন প্রভাষক এই টাকা জমা নিয়েছেন।
কানিজ লায়লার সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই অভিযোগ ভিত্তিহীন উল্লেখ করে সামনাসামনি কথা বলতে বলেন।
পরে কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জীবন কুমার কর্মকারের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটা প্রায় সব কলেজে নেয়। অলিখিত নিয়ম হয়ে গেছে। বহিরাগত পরীক্ষকদের আপ্যায়ন খরচের জন্য টাকাটা নেওয়া হয়েছে।
বহিরাগত পরীক্ষকদের খরচ তো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিশোধ করা হয় তাহলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কেন নেওয়া হচ্ছে—এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আসলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে খরচ দেওয়া হয় তা যথেষ্ট নয়।
জানতে চাইলে খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ রওশন আকতার বলেন, ‘পরীক্ষা বাবদ যেকোনো খরচ রসিদের মাধ্যমে নেওয়া হয়। মৌখিক পরীক্ষার জন্য আলাদা টাকা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’