যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করতে সরকার বদ্ধপরিকর

গত বছর জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির মাধ্যমে ২ লাখ ২৩ হাজার ৯২২ জন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করা হয়। তাঁদের প্রত্যেককেই চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। বাকি সব যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এই তথ্য জানানো হয়।

জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা ব্র্যাক এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। কাল শুক্রবার বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস। দিবসটি উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এবারের বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘ঐক্যবদ্ধ হলে সবে, যক্ষ্মামুক্ত দেশ হবে’।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এখনো প্রায় ৪০ শতাংশ যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। এরাই মূলত যক্ষ্মার জীবাণু ছড়ানোর একটি প্রধান উৎস। তবে সরকার সব রোগী শনাক্ত করতে বদ্ধপরিকর।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির বিস্তারিত উপস্থাপন করেন এই কর্মসূচির চিকিৎসা কর্মকর্তা নাজির আফরিন।

জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর রুসেলি হক বলেন, যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে সরকার খুবই আন্তরিক ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আগামী স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি খাত উন্নয়নের কর্মসূচিতে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার বরাদ্দ বাড়িয়েছে। এটা সরকারের আন্তরিকতার পরিচয়।