যাত্রীবাহী আধুনিক লঞ্চ সুন্দরবন-১০-এর উদ্বোধন

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ আধুনিক যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি সুন্দরবন-১০-এর উদ্বোধন করলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। ছবি: ফোকাস বাংলা
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ আধুনিক যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি সুন্দরবন-১০-এর উদ্বোধন করলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। ছবি: ফোকাস বাংলা

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ যাত্রীবাহী আধুনিক লঞ্চ এমভি সুন্দরবন-১০-এর উদ্বোধন করা হলো। আজ শনিবার বিকেলে ঢাকার সদরঘাটে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অত্যাধুনিক এই লঞ্চের উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, এর ফলে যাত্রীরা স্বল্প খরচে এবং মাত্র পাঁচ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে বরিশাল নিরাপদে যাতায়াত করতে পরবেন। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ খুব সহজ হবে এবং ব্যবসায়ীদের পণ্য পরিবহনের দ্বার উন্মোচন হবে।

লঞ্চটি আধুনিক প্রযুক্তি দ্বারা বরিশালে স্থানীয়ভাবে নির্মিত হয়েছে। লঞ্চটি ৩০০ ফুট লম্বা এবং ৫০ ফুট প্রশস্ত। এর যাত্রী ধারণ ক্ষমতা এক হাজার ৪০০ জন। লঞ্চটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক সুবিধাসহ কেবিন ও সুপরিসর ডেক। লঞ্চটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ও সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত। এতে রয়েছে শিশুদের জন্য বিনোদন স্পেস, ফুডকোর্ট, ফার্মেসি, আধুনিক অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত লাইফ বয়া ও জ্যাকেট এবং ফ্রি ওয়াইফাইয়ের ব্যবস্থা। ফলে যাত্রীরা লঞ্চটিতে স্বচ্ছন্দে যাতায়াত করতে পারবেন

বিলাসবহুল লঞ্চটি ঘুরে দেখেন শিল্পমন্ত্রীসহ অতিথিরা। ছবি: ফোকাস বাংলা
বিলাসবহুল লঞ্চটি ঘুরে দেখেন শিল্পমন্ত্রীসহ অতিথিরা। ছবি: ফোকাস বাংলা

সাড়ে তিন তলা বিশিষ্ট বাংলাদেশে প্রথম ক্যাপসুল লিফট কোনো যাত্রীবাহী লঞ্চে সংযোজন করা হলো। লঞ্চটিতে রয়েছে আধুনিক জিপিএস সিস্টেম। এর ফলে লঞ্চে চলাচলের সময়ে ক্যাপ্টেন পানির ভেতরে সবকিছু দেখে লঞ্চটি নিরাপদ গন্তব্যে নিয়ে যেতে পারবে। লঞ্চটি হাইড্রলিক পদ্ধতিতে চলবে এবং এর রাডার ব্যবস্থা কুয়াশার মধ্যেও লঞ্চটিকে নিরাপদে চলতে সাহায্য করবে। প্রায় ১৫ কোটি টাকায় ব্যয়ে লঞ্চটি নির্মাণ করা হয়েছে। আর আর্থিক সহায়তা করেছে জনতা ব্যাংক লিমিটেড।

বরিশাল লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মাহাবুব উদ্দিন আহম্মেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বরিশাল-২ আসনের সাংসদ তালুকদার মো. ইউনুস, বরিশাল-৫ আসনের সাংসদ বেগম জেবুন্নেছা আফরোজ, লঞ্চটির মালিক সাইদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।