মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও যুদ্ধাপরাধীমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় গতকাল বুধবার মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। কোনো কোনো স্থানে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনটির সূচনা হয়। এরপর একে একে শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবাসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
কুমিল্লা: কুমিল্লা টাউন হল মাঠে প্রায় ১৫ হাজার লোক জড়ো হয়ে বিজয় শোভাযাত্রা বের করে। বিকেল চারটায় কুমিল্লা জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে এই শোভাযাত্রা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন কুমিল্লা-৬ (আদর্শ সদর) আসনের সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিন। সন্ধ্যায় টাউন হল মাঠে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীরা জাগরণের সংগীত পরিবেশন করেন।
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী): রাত ১২টা ১ মিনিটে তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসটির উদ্যাপন শুরু হয়। সকালে কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহণ করেন সাংসদ কাজী কেরামত আলী। অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা জানানো হয়। গোয়ালন্দ পৌর পরিষদের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও সহযোগিতায় রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট-৩২৮১ বাংলাদেশের রোটারি ক্লাব অব ফরিদপুর নিউ টাউনের উদ্যোগে পৌর মিলনায়তনে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ফরিদপুর ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং রাজবাড়ী জেলার চিকিৎসকেরা বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দেয়।
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার): দুপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তরিকুল ইসলাম লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে সাত জাতের ১৮টি বন্য প্রাণী অবমুক্ত করেন।
চুয়াডাঙ্গা: বেলা ১১টায় আলমডাঙ্গার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শপথগ্রহণের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ জাহিদ হোসেন ব্যক্তিগত উদ্যোগে হরিজন ও দলিত সম্প্রদায়ের দেড় শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে নিয়ে ‘অবাক বিজয়’ শীর্ষক এই আয়োজন করে।
সাতক্ষীরা: জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা হয়। আহছানিয়া মিশন রেসিডেনসিয়াল কলেজ মাঠে কয়েক শ মানুষজাতীয় সংগীত পরিবেশন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংসদ আ ফ ম রুহুল হক। শহীদ আবদুর রাজ্জাক পার্কে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা-২ সদর আসনের সাংসদ মীর মোস্তাক আহম্মেদ।
সিলেট:নগরের চৌহাট্টা এলাকার সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও সংগঠন। পরে শিশু-কিশোর মেলা জেলা শাখার উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবিতে নগরের রেজিস্ট্রারি মাঠ থেকে একটি সাইকেল শোভাযাত্রা বের হয়। মহানগর বিএনপি সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ থেকে শোভাযাত্রা বের করে।
টাঙ্গাইল: শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক মাহবুব হোসেন ও পুলিশ সুপার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর। এরপর জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনতা শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
ফরিদপুর: সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা হয়। সকাল আটটায় শহরের গোয়ালচামট এলাকার শহীদ স্মৃতিফলকে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, প্রথম আলো বন্ধুসভা, মহিলা পরিষদসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
বরিশাল: মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ও বধ্যভূমিতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো, শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবস পালিত হয়। বিকেল চারটায় বরিশালের ২৭টি সংগঠনের জোট বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
রাজশাহী: শোভাযাত্রায় দুটি হাতি নিয়ে ও ৪০টি ঢোল বাজিয়ে নগরে বিজয় দিবস উদ্যাপন করে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ। এ সময় গণসংগীত পরিবেশন করে জয় বাংলা সাংস্কৃতিক জোট। এ ছাড়া বিভিন্ন সংগঠন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শোভাযাত্রার আয়োজন করে। শোভাযাত্রাগুলো রাজশাহী কলেজ শহীদ মিনারে এবং নগরের ভুবনমোহন পার্কে অবস্থিত শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিকেলে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে ভুবনমোহন পার্কে সারা দেশের সঙ্গে একযোগে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। ‘মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ ও স্বাধীনতাবিরোধীদের মূলোৎপাটনে বিচার চলছেই, চলবে’ স্লোগানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভাষাসৈনিক আবুল হোসেন।
পাবনা: রাত ১২টা ১ মিনিটে পাবনা-৫ আসনের সাংসদ গোলাম ফারুক, জেলা পরিষদের প্রশাসক, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ দুর্জয় পাবনার পাদদেশে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
দুপুরে জেলা পরিষদের উদ্যোগে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সংবর্ধনা এবং ২৫টি দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে জেলার ছয় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। এ সময় ৫৫০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে একটি করে খাবার প্লেট উপহার দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে দিনব্যাপী আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
নীলফামারী: প্রথম প্রহরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়। এরপর শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে স্বাধীনতা স্মৃতি অম্লান স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। নীলফামারী স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শারীরিক কসরত প্রদর্শন করে। পরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ১৮০ জন মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের একটি করে চাদর উপহার দেওয়া হয়।
এ ছাড়া হাসপাতাল, কারাগারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন, খেলাধুলা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। সকালে পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শহরে শোভাযাত্রা বের করা হয়।
রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ): সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ধানগড়া মডেল উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনের সাংসদ গাজী ম ম আমজাদ হোসেন। দুপুরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও): উপজেলা পরিষদ যুদ্ধাহত ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ৩০০ সদস্যকে সংবর্ধনা দেয়। বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত স্থানীয় পাবলিক ক্লাব মাঠে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সাংসদ ইয়াসীন আলী।
রংপুর: রাত ১২টা ১ মিনিটে শহরের মডার্ন মোড়ের ভাস্কর্য ‘অর্জন’-এ বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন সংগঠন ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। সকালে রংপুর স্টেডিয়ামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সংগঠনের কুচকাওয়াজ হয়।
দুপুরে রংপুর টাউন হলে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
কক্সবাজার: কক্সবাজারের বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে গতকাল বুধবার সকালে বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমির ৩০০ শিক্ষার্থী ‘মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ’ নিয়ে ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। এতে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ, একাত্তরের ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও লোকসংস্কৃতি তুলে ধরা হয়।
আধা ঘণ্টার এই ডিসপ্লের শেষ দিকে সুখী, সমৃদ্ধিশালী ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে নিজ নিজ পরিবেশনা তুলে ধরে বিদ্যালয়ের রাখাইন, হিন্দু, বৌদ্ধ ও মুসলিম সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও ফাঁসি কার্যকর করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় ব্যক্তিত্বও ডিসপ্লেতে ফুটিয়ে তোলে এক শিক্ষার্থী।
মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ নিয়ে তৈরি বায়তুশ শরফের এই প্রদর্শনী সেরা ডিসপ্লে হিসেবে ঘোষণা দেয় জেলা প্রশাসনের বিজয় দিবস উদ্যাপন পরিষদ। অন্য রকম বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সৈয়দ করিমের হাতে বিজয় ক্রেস্ট তুলে দেন জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার-৩ আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার, পুলিশ সুপার শ্যামল কুমারনাথ, পিটিআই সুপার কামরুন নাহার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) এ কে আহমদ হোসেন, পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) মাহবুবুর রহমান, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক প্রিতম কুমার চৌধুরী প্রমুখ।
বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমির পরিচালনা কমিটির সভাপতি এম সিরাজুল ইসলাম জানান, গত বছরও বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে এই বিদ্যালয় ডিসপ্লেতে প্রথম স্থান অর্জন করেছিল।
নোয়াখালী: রাত ১২টা ১ মিনিটে দিবসের প্রথম প্রহরে জেলা শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক বদরে মুনির ফেরদৌস ও পুলিশ সুপার (এসপি) ইলিয়াছ শরিফ। এরপর জেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আইনজীবী সমিতি, নোয়াখালী প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম অহিদুজ্জামানের নেতৃত্বে শিক্ষকেরা ক্যাম্পাসে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সকালে নোয়াখালী শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে ছিল শরীরচর্চা প্রদর্শনী। এ ছাড়া সকালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও বিজয় মেলা পরিষদ যৌথভাবে শহরে বিজয় শোভাযাত্রা বের করে।
লক্ষ্মীপুর: জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে ৩১ বার তোপধ্বনি ও বিজয়স্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। স্থানীয় সাংসদ এ কে এম শাহজাহান কামাল, জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী ও পুলিশ সুপার শাহ মিজান সাফিউর রহমান বিজয়স্তম্ভেপুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগসহবিভিন্ন রাজনৈতিক দল, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
সকাল আটটায় জেলা স্টেডিয়ামে ছিল বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজের আয়োজন।
জেলা কালেক্টরেট ভবন প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন স্থানীয় সাংসদ এ কে এম শাহজাহান কামাল, জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, পুলিশ সুপার শাহ মিজান সাফিউর রহমান, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র আবু তাহের, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিয়া গোলাম ফারুক, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সালাউদ্দিন টিপু।
ফেনী: ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। শহরে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন স্থানীয় সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী, জেলা প্রশাসক মো. হুমায়ুন কবির খোন্দকার, পুলিশ সুপার রেজাউল হক, সাবেক সাংসদ জয়নাল আবেদিন (ভিপি জয়নাল), পৌরসভার মেয়র আলাউদ্দিন। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, সিপিবি, জাসদ, জেলা পরিষদ, ফেনী প্রেসক্লাব, জেলা আইনজীবী সমিতি, জেলা শিক্ষক সমিতি, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, প্রথম আলো বন্ধুসভা, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, ফেনী বিশ্ববিদ্যালয়, ফেনী সরকারি কলেজ, জয়নাল হাজারী কলেজ, সরকারি জিয়া মহিলা কলেজসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
সকালে ভাষাশহীদ সালাম স্টেডিয়ামে ছিল কুচকাওয়াজের আয়োজন। শিল্পকলা একাডেমিতে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সন্তানদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বিকেলে শিল্পকলা একাডেমিতে ছিল আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম): রাত ১২টা ১ মিনিটে শহীদ মিনারেপুষ্পস্তবক অর্পণ করেন স্থানীয় সাংসদ দিদারুল আলম। এরপর উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
সকালে সীতকুণ্ড উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজন করা হয় কুচকাওয়াজের। দুপুরে উপজেলা পরিষদ মাঠে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সাংসদ দিদারুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুব আলম, মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী বীর প্রতীক, উপজেলা কমান্ডার আলিম উল্লাহ প্রমুখ।