যেভাবে চলছে আগুন নেভানোর চেষ্টা

কনটেইনার ডিপোর বিস্ফোরণস্থল থেকে ধোঁয়া উঠছেছবি: প্রথম আলো

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন নেভাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনী। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলের কাছে যেতে না পারায় ওপর থেকে পানি ছিটানোর কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী।

রাসায়নিক পদার্থ যাতে সমুদ্রে গিয়ে না পড়ে, সে জন্যও কাজ করছে সেনাবাহিনী। গতকাল শনিবার রাতে আগুন লাগার পর কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আজ রোববার দুপুরে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৩৭ হয়েছে। দুপুরেও ডিপো থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে। কিছু কিছু জায়গায় আগুন জ্বলছে। ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে পুরো এলাকা।

আরও পড়ুন

আগুন নেভানোর মতো পর্যাপ্ত সরঞ্জাম রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রামের উপপরিচালক আনিসুর রহমান। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলের কাছে গিয়ে পানি ছিটাতে পারছে না বলে জানান তিনি। পানি পেতেও সমস্যা হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের। দূর থেকে পানি আনতে হচ্ছে। এসব কারণে ওপর থেকে পানি ছিটাতে হচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুনঃ

আগুন, উত্তাপ ও ধোঁয়া ছড়িয়েছে আড়াই বর্গকিলোমিটারজুড়ে

ফায়ার সার্ভিসের চার কর্মী নিখোঁজ, অসুস্থ দুজন এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায়

‘আমি ওখানে থাকলে আমার কী হতো’

বিষাক্ত ধোঁয়ায় নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে, চোখ দিয়ে ঝরছে পানি

মালিকপক্ষ আসেনি, কী কেমিক্যাল জানতে পারছে না উদ্ধারকারীরা

কনটেইনার ডিপোতে  বিস্ফোরণস্থলে  সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস
ছবি: প্রথম আলো

এদিকে বিস্ফোরণের পর রাসায়নিকগুলো যাতে সমুদ্রে গিয়ে না পড়ে, সে জন্য আশপাশের খাল ও নালায় সেনাবাহিনী কাজ শুরু করেছে। চট্টগ্রাম সেনানিবাসের ইঞ্জিনিয়ারিং কোর–০১–এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনিরা সুলতানা আজ দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে প্রথম আলোকে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার পর সেনাবাহিনী কনটেইনার ডিপোতে কাজ করবে।’

আরও পড়ুন
কনটেইনার ডিপোতে উদ্ধারকাজ চলছে
ছবি: প্রথম আলো

ডিপোটিতে ১ হাজার ২০০ কনটেইনার ছিল বলে জানিয়েছেন বিএম কনটেইনার ডিপোর মহাব্যবস্থাপক নাজমুল আক্তার খান। তবে কনটেইনারগুলোর মধ্যে কী পরিমাণ রাসায়নিক ছিল, তা তিনি জানেন না।

আরও পড়ুন