‘রক্তে আঁকা ভোর’ উপন্যাস নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান

প্রথম আলো ও প্রথমা ডটকমের আয়োজনে গত বুধবার রাত আটটায় ‘রক্তে আঁকা ভোর’ শিরোনামে একটি আলোচনা অনুষ্ঠান হয়। জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক আনিসুল হকের নতুন প্রকাশিত উপন্যাস রক্তে আঁকা ভোর-এর নানা গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে আলোচনা করেন প্রাবন্ধিক অধ্যাপক কুদরত-ই-হুদা ও কথাসাহিত্যিক আফসানা বেগম এবং লেখক নিজে। এ সময় আলোচকেরা দর্শকদের সঙ্গে তাঁদের পাঠ-অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন।

কথাসাহিত্যিক আফসানা বেগম বলেন, একটি ইতিহাস বা রিপোর্ট যেভাবে লেখা হয়, সে রকমভাবে না গিয়ে আনিসুল হক ঘটনাটিকে ‘ফিকশনাইজেশন’ করেছেন, যেটি খুব উপভোগ করেছেন তিনি।

প্রাবন্ধিক কুদরত-ই-হুদা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যেকোনো ‘ফরম্যাটে’ কাজ হয়েছে খুব কম। বিশেষত উপন্যাসে আরও কম। প্রায় সবার উপন্যাসেই ’৭১ থেকে শুরু করে ছোট পরিসরে কাজ করা হয়েছে। রক্তে আঁকা ভোর-এর যে পটভূমি বা ভূগোল, সে জায়গা থেকে এটা সবচেয়ে বিস্তৃতপটে লেখা উপন্যাস। এটা বাংলাদেশের পুরো ভূখণ্ড তো ধরেছেই, এমনকি যে যে জায়গার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ সম্পৃক্ত, সে জায়গাগুলোকে স্পর্শ করেছে।

যারা ভোর এনেছিল থেকে রক্তে আঁকা ভোর পর্যন্ত উপন্যাসধারার ৯ বছরের দীর্ঘ যাত্রায় ঔপন্যাসিক আনিসুল হক তাঁর অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি ব্যক্ত করেন। নামোল্লেখপূর্বক তিনি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান, যাঁরা তাঁকে ইতিহাসনির্ভর উপন্যাসের এই ধারা লিখতে সাহায্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, সাড়ে সাত কোটি মানুষ যদি সাড়ে সাত কোটি পৃষ্ঠা লেখে, তবু মুক্তিযুদ্ধের এই মহাকাব্যিকতা আমরা ধারণ করতে পারব না। বইটি আমি গবেষকদের জন্য লিখিনি। তরুণ প্রজন্মের জন্য লিখেছি। তারা গল্পের মধ্য দিয়ে ইতিহাসের চরিত্রগুলোকে সজীব দেখতে চায়।’

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কবি ও কথাসাহিত্যিক রাসেল রায়হান। অনুষ্ঠানটি প্রথম আলোর ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি দেখানো হয়।

রক্তে আঁকা ভোর প্রকাশ করেছে প্রথমা প্রকাশন। মোট ছয় খণ্ডে প্রকাশিত মহাকাব্যিক আখ্যানধারার শেষ পর্ব এটি। এতে ধরা আছে বাঙালির জাগরণের ইতিহাস। বইটির মুদ্রিত মূল্য ১০৫০ টাকা। ঘরে বসে বই পেতে চাইলে অনলাইনে অর্ডার করতে পারেন prothoma.com বা অন্যান্য অনলাইন বইয়ের দোকান থেকে।