রাজশাহীর বরখাস্ত মেয়র বুলবুল কারাগারে

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত হওয়া মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে (বিএনপি থেকে নির্বাচিত) আজ রোববার দুপুরে কারাগারে নেওয়া হচ্ছে। ছবি: প্রথম আলো
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত হওয়া মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে (বিএনপি থেকে নির্বাচিত) আজ রোববার দুপুরে কারাগারে নেওয়া হচ্ছে। ছবি: প্রথম আলো

এক বছর আত্মগোপনে থাকার পর রাজশাহী সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত হওয়া মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল (বিএনপি থেকে নির্বাচিত) আজ রোববার দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

দুপুরে রাজশাহীর তিনটি আদালতে আত্মসমর্পণ করে মোট নয়টি মামলায় মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল পৃথকভাবে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে একটি মামলায় জামিন ও আটটির জামিন আবেদন নাকচ করে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর মধ্যে তিনটি নাশকতার, দুটি সরকারি কাজে বাধাদান ও চারটি বিস্ফোরক আইনের মামলা রয়েছে।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির সহসভাপতি মোসাদ্দেক হোসেনের আইনজীবী আলী আখতার মাসুম জানান, প্রথমে দুপুর ১২টার দিকে তিনি রাজশাহী মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা এই মামলার অভিযোগ গঠনের সময় অনুপস্থিত থাকায় গত ৭ মার্চ বিচারক তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।


এর পর তিনি মহানগর দায়রা জজ আদালতে চারটি মামলায় আত্মসমর্পণ করেন। সেখানে শুনানি শেষে বিচারক মোহাম্মদ আলতাব হোসাইন জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর পর তিনি মহানগর হাকিম চারটি মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জাহিদুল ইসলাম তাঁর জামিন আবেদন নাকচ করে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে তাঁকে আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

সকাল থেকে আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নগর বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান মিনুসহ অনেক নেতা কর্মী জড়ো হন। আদালত চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। জামিন আবেদন নাকচ করার পর কারাগারে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা আদালত চত্বরে বিক্ষোভ করে।

২০১২ সালের ২২ এপ্রিল সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মোসাদ্দেক হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। গত বছর ৫ জানুয়ারির পর বিএনপির হরতাল অবরোধের সময় তাঁর বিরুদ্ধে ৮টি মামলা দায়ের করা হয়। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি আত্মগোপনে চলে যান।