রূপপুরে কাজে গতি, চিন্তা সঞ্চালন লাইন নিয়ে

রূপপুর প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি প্রায় ৩৯%। করোনার মধ্যে জনবল বাড়িয়ে কাজ চলছে। পিছিয়ে আছে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের কাজ।

করোনায় থামেনি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ, বরং বাড়তি জনবল নিয়ে নির্মাণের গতি বাড়িয়েছে রাশিয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবু নির্ধারিত সময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারণ, এই প্রকল্পের সঙ্গে তাল রেখে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি লিমিটেড (পিজিসিবি) সময়মতো বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের কাজটি শেষ করতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের তিনজন এবং পিজিসিবির দুজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এমন শঙ্কার কথা স্বীকার করছে না পিজিসিবি। তারা বলছে, প্রয়োজনীয় সহায়তা পেলে এখনো সময়মতো কাজ শেষ করতে পারবে তারা।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রকল্প। দেশে প্রায় সব বড় প্রকল্প মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানোর একটা প্রশ্নবিদ্ধ রীতিতে চলছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত রূপপুর প্রকল্পের ব্যয় বা মেয়াদ—কোনোটাই বাড়াতে হয়নি। যদিও রূপপুর প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থার দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেছেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ ও সঞ্চালন লাইনের কাজ সময়ের মধ্যে শেষ না হলে এই প্রকল্পও সময় বৃদ্ধির চক্রে পড়বে। আগামী বাজেটের আগেই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর আলোচনা সামনে চলে আসতে পারে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বলছে, আগামী বছরের জানুয়ারিতে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রাথমিক কাজ শেষে যন্ত্রপাতি পরীক্ষা করা শুরু হবে। এ জন্য ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্প এলাকায় ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম ইউনিটের জ্বালানি সংযুক্তি (ফুয়েল লোডিং) শেষ করা হবে। আন্তর্জাতিক রীতি অনুসারে, ফুয়েল লোডিংয়ের দুই থেকে তিন মাস আগেই গ্রিড প্রস্তুত রাখার দায়বদ্ধতা আছে। এ ছাড়া আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই বিদ্যুৎকেন্দ্রের উপযোগী গ্রিড ব্যবস্থা নির্মাণ করতে হবে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতায় পরমাণু শক্তি কমিশন। ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট নির্মাণ করছে রাশিয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয়এক্সপোর্ট। খরচ হচ্ছে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্পের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, চুক্তি অনুসারে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করার বাধ্যবাধকতা আছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। তাই তারাও প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াতে চায় না। সে জন্য করোনার মধ্যে কাজ চালিয়ে যেতে সরকার তাদের অগ্রাধিকার সুবিধা দিয়েছে। রাশিয়া থেকে বিশেষ ফ্লাইটে আসা-যাওয়া করেছেন প্রকৌশলীরা। পিজিসিবিকেও তারা তাগাদা দিচ্ছে নিয়মিত।

প্রকল্পটির বিষয়ে সর্বশেষ অবস্থা জানতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। প্রকল্প পরিচালক শৌকত আকবরের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন তিনি। শৌকত আকবর প্রকল্পের বিভাগীয় প্রধান (প্রশাসন ও অর্থ) অলোক চক্রবর্তীর সঙ্গে কথা বলার ব্যবস্থা করে দেন।

অলোক চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, পিজিসিবি সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করবে। কারণ, সময়ের মধ্যে প্রকল্প শেষ করতে পুরো সক্ষমতা দিয়ে কাজ করছে রাশিয়ার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সে জন্যই এখন পর্যন্ত আশা করছি, নির্ধারিত সময়ে সব কাজ শেষ হবে।’

পিছিয়ে আছে পিজিসিবি

২০১৮ সালের এপ্রিলে কাজ শুরু হওয়ার কথা বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন প্রকল্পের। যদিও কাজ শুরু হয় প্রায় তিন বছর পর। ১০ হাজার ৯৮২ কোটি টাকার এ কাজ হচ্ছে ভারতের লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) চুক্তির আওতায়। এতে ৮ হাজার ২১৯ কোটি টাকা অর্থায়ন করছে ভারতের এক্সিম ব্যাংক। বাকি টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার ও পিজিসিবি। আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা। পাঁচটি প্যাকেজে ভাগ করা এ প্রকল্পের চারটির কাজ শুরু হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নদী পারাপার লাইন প্যাকেজের দরপত্র মূল্যায়ন করে ঠিকাদারদের তালিকা এক্সিম ব্যাংকের কাছে পাঠানো হয়েছে।

পিজিসিবির কর্মকর্তারা বলছেন, শুরুতে এক্সিম ব্যাংক থেকে ঋণের ছাড়পত্র পেতেই চলে যায় ১৩ মাস। ২০১৯ সালের মে মাসে আসে ছাড়পত্র। এরপর প্রতিটি প্যাকেজের দরপত্রের আগে নথিপত্র যাচাই-বাছাই করে ঠিকাদারদের প্রাথমিক তালিকা দিতে কয়েক মাস করে সময় নেয় ব্যাংকটি। চলে যায় আরও এক বছর। এ অবস্থায় প্রথম প্যাকেজের কাজটি দেওয়া হয় গত বছরের মে মাসে। তিনটি কাজ দেওয়া হয়েছে এ বছরের শুরুতে। ঋণ চুক্তির শর্তানুযায়ী সব প্যাকেজেরই কাজ পেয়েছেন ভারতীয় ঠিকাদারেরা।

পিজিসিবির দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, সঞ্চালন লাইনের জন্য ২০টি টাওয়ার বসাতে হবে রূপপুরে। এর মধ্যে রূপপুরের মূল প্রকল্প এলাকায় ছয়টি। ছয়টির মধ্যে তিনটি টাওয়ার বসানোর জায়গা বুঝিয়ে দিয়েছে রূপপুর কর্তৃপক্ষ। বাকি তিনটির জন্য গত কয়েক মাসে তাদের ১০ বার চিঠি দেওয়া হয়েছে।

রূপপুরের প্রকল্প কর্মকর্তা অলোক চক্রবর্তী বলেন, টাওয়ারের জন্য নির্ধারিত জায়গা থেকে বাতিল উপকরণ ও সরঞ্জাম (স্ক্র্যাপ) সরাতে রাশিয়ার ঠিকাদারদের বলা হয়েছে। পিজিসিবি মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করতে চাইলেই এগুলো সরিয়ে দেওয়া হবে। রূপপুর প্রকল্পের জন্য তাদের কাজ আটকে থাকার কোনো কারণ নেই। তিনি বলেন, তাদের তো চলমান টাওয়ার তিনটির কাজই এখনো শেষ হয়নি।

তবে পিজিসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কিবরিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। আর নদী পারাপার লাইনের জন্য শিগগিরই ক্রয়াদেশ চূড়ান্ত করা হবে। সবাই এখন দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা করছে। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সব কাজ শেষ করার বিষয়ে আশাবাদী তিনি।

অগ্রগতি ৩৯ শতাংশ

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের অগ্রগতি প্রতিবেদন বলছে, গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৪২ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ করা হয়েছে। একই সময়ে প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি ৩৭ দশমিক ২৯ শতাংশ। আর ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৩৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

কর্মকর্তারা জানান, এ বছরের মধ্যেই প্রথম ইউনিট স্থাপনের (ইনস্টলেশন) কাজ শেষ হবে। আগামী বছরের জুনের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রের সব যন্ত্রপাতি দেশে চলে আসবে। দ্বিতীয় ইউনিটের কাজও নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হবে। দিনে সর্বোচ্চ ১৮ হাজার লোক কাজ করার কথা থাকলেও এখন রূপপুরে ২৫ থেকে ২৬ হাজার কর্মী কাজ করছেন প্রতিদিন।

অগ্রগতি প্রতিবেদন বলছে, রাশিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রপাতি তৈরি হচ্ছে। এসব কাজ নির্ধারিত সময় ধরেই এগোচ্ছে। সময়মতো প্রকল্প এলাকায় পৌঁছানো হচ্ছে। দেশেও প্রতিটি কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক। ২০২৩ সালের এপ্রিলে জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে চায় রূপপুর কর্তৃপক্ষ। আর ২০২৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে।

আন্তর্জাতিক অনুমোদনের চ্যালেঞ্জ

রূপপুর প্রকল্পের কাজটি নিয়মিত নজরদারির মধ্যে রেখেছে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক সংস্থা (আইইএ)। পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোও এ প্রকল্পের খোঁজখবর রাখছে। সময়মতো প্রতিটি ধাপ শেষ করার বিষয়টি দেখে আইইএ মূল্যায়নও করছে। নিয়মিত সক্ষমতার প্রমাণ দিতে হচ্ছে। আগামী বছর থেকে প্রতিটি ধাপে আইইএ থেকে অনুমোদন নিয়ে এগোতে হবে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সামনে এটিই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, আইইএর সঙ্গে বাংলাদেশ পক্ষের দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে দেশের পারমাণবিক অবকাঠামো প্রতিষ্ঠা এবং সে ক্ষেত্রে আইইএর সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্র চিহ্নিত করে একটি সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রতিবছর দুই পক্ষ আলোচনা করে এটি হালনাগাদ করে।

বাংলাদেশিদের প্রশিক্ষণ

রূপপুরে বর্তমানে সাড়ে চার হাজারের বেশি বিদেশি নাগরিক কাজ করছেন। অধিকাংশই রাশিয়ার। এ ছাড়া ইউক্রেন, উজবেকিস্তান ও ভারতের কিছু দক্ষ প্রকৌশলী রয়েছেন রূপপুর প্রকল্পে। প্রকল্পে পরামর্শক হিসেবে ২০১৯ পর্যন্ত ১৭ জন ভারতীয় বিশেষজ্ঞ কাজ করেছেন। এ বছর আরও পাঁচজনকে নিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রের তিনজন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ খণ্ডকালীন পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন। দেশীয় বিশেষজ্ঞেরা বিভিন্ন কমিটির সদস্য হিসেবে নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন। এ বছরেই রাশিয়া থেকে আরও বিশেষজ্ঞ আসবেন।

বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দেশের ১ হাজার ৪২৪ জনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ধাপে ধাপে তাঁদের রাশিয়া পাঠিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আলাদা কোম্পানি

বিদ্যুৎকেন্দ্রে তৈরি পারমাণবিক বর্জ্য ফেরত নেবে রাশিয়া। এর জন্য ২০১৯ সালের ৩০ আগস্ট রাশিয়ার মস্কোতে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়। এরপর ওই বছরের অক্টোবরে আইইএর নির্দেশিকা (গাইডলাইন) মেনে তৈরি ‘তেজস্ক্রিয় বর্জ্য এবং ব্যবহৃত পারমাণবিক জ্বালানি ব্যবস্থাপনাবিষয়ক জাতীয় নীতি, ২০১৯’-এর খসড়া অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এ নীতির আওতায় বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কোম্পানি (আরডব্লিউএমসি) গঠন করবে। বাংলাদেশের সব তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ করবে এই কোম্পানি। সময়মতো কোম্পানিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন রূপপুরের কর্মকর্তারা।

সমন্বয়হীনতা শঙ্কা বাড়াচ্ছে

রূপপুর প্রকল্পের অগ্রগতি তদারকি, কারিগরি পর্যালোচনা ও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রীকে সভাপতি করে ২৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে মন্ত্রিসভা। এতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবেরা সদস্য হিসেবে আছেন।

রূপপুর প্রকল্পের বিভিন্ন অংশের কাজে যুক্ত আছে সরকারের একাধিক মন্ত্রণালয়। এগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের মূল কাজটি করছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। আর বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বিতরণের দায়িত্বে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। রূপপুর প্রকল্পের বিদ্যুৎ উৎপাদন
পিছিয়ে গেলে তার দায় পিজিসিবির হবে বলে মনে করছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। আর পিজিসিবির কর্মকর্তারা বলছেন, নিজেদের কাজ সময়মতো শেষ করতে পারবে না রূপপুর কর্তৃপক্ষ। তাই আগেভাগে পিজিসিবিকে দায় দিতে চাচ্ছেন তাঁরা।

দেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল পাকিস্তান আমলে, ১৯৬০ সালে। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ কাইউম চাকরিজীবনের পুরোটা সময় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের কাজে যুক্ত ছিলেন। বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ শুরুর আগেই অবসরে যাওয়া এ পরমাণুবিজ্ঞানী প্রথম আলোকে বলেন, দুই মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয়হীনতা একটি বড় সমস্যা। এমন হলে সময়মতো উৎপাদনে যেতে পারবে না প্রকল্প। সঞ্চালন লাইন ছাড়া তো বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ নেই।