রেলওয়ের উচ্ছেদ অভিযানের সময় আগুন

চট্টগ্রাম নগরের আইস ফ্যাক্টরি রোডের রেলওয়ে স্টেশন কলোনিতে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর সময় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার সকাল থেকে শুরু হওয়া উচ্ছেদ অভিযানের একপর্যায়ে বেলা পৌনে দুইটার দিকে অবৈধভাবে গড়ে তোলা একটি ঘরে আগুন লাগে। এতে অবৈধভাবে নির্মাণ করা পাঁচটি ঘর পুড়ে যায়।

সকাল থেকে এই স্টেশন কলোনিতে রেলওয়ের জমিতে গড়ে ওঠা প্রায় ১০০ দোকান ও ঘর উচ্ছেদ করা হয়। এর আগে গত ৭ আগস্ট একই কলোনিতে অভিযান চালিয়ে ২০০ ঘর উচ্ছেদ করা হয়েছিল। বটতলী রেলস্টেশনের সঙ্গে লাগোয়া এই কলোনিটিকে এখানকার বাসিন্দারা ছিন্নমূল বাস্তুহারা কলোনি নাম দিয়ে সাইনবোর্ডও লাগিয়েছে।

আজ উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন রেলওয়ের বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা ইশরাত রেজা। তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ১০০টি দোকান ও ঘর উচ্ছেদ করেছি। এগুলো রেলওয়ের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে উঠেছিল। এখন পর্যন্ত পৌনে এক একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে।’

ইশরাত রেজা আরও বলেন, ‘আজ অভিযানের একপর্যায়ে বেলা দুইটার পর একটি ঘরে আগুন লেগে যায়। আগুন পুড়ে যাওয়া ঘরগুলোও অবৈধ। আগুন লাগায় আমরা আজ অভিযান অসমাপ্ত রেখে চলে এসেছি। আগামীকাল (সোমবার) আবার যাব।’

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, পৌনে দুইটার দিকে কলোনির ভেতরের একটি ঘর থেকে ধোঁয়া উঠতে শুরু করে। পরে দাউ দাউ করে আগুন লেগে যায়। সোয়া এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুনে পাঁচটি বসতঘর পুড়ে যায়।

আগুন লাগার কারণ তদন্তসাপেক্ষে জানানো হবে বলে ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে। এর আগে সকাল ১০টা থেকে তিনটি বুলডোজার দিয়ে উচ্ছেদ শুরু করা হয়। এ সময় সেখানকার বাসিন্দা ও দোকানিরা তাঁদের মালপত্র সরিয়ে নেন।
ওই কলোনির বাবুল নামে একজন বাসিন্দা অভিযোগ করেন, ‘নোটিশ এবং সময় না দিয়ে আমাদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। আমরা মালপত্র সরাতে পারিনি।’ তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে ইশরাত রেজা বলেন, উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়ার পর গতকাল শনিবার দিনভর ওই এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে।

অভিযানে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আছিয়া খাতুন সহযোগিতা করেন। সদরঘাট ও কোতোয়ালি থানা-পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে।