রেললাইন থেকে উদ্ধার দুই কিশোরের লাশের পরিচয় মিলেছে

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার মিরজাগঞ্জ রেলস্টেশনের অদূরে রেললাইনের ওপর থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাতনামা দুই কিশোরের লাশের পরিচয় নিশ্চিত করেছে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার পুলিশ।

নিহত কিশোরেরা হলো ঠাকুরগাঁও জেলা সদরের জগন্নাথপুর ইউনিয়নের সিংগিয়া মুন্সিপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক জামাল হোসেনের ছেলে মঈন উদ্দিন (১৪) ও একই গ্রামের আবদুস সোবহানের ছেলে রাশেদুল ইসলাম (১৩)। গত বুধবার বেলা ১১টার দিকে ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের মিরজাগঞ্জ গ্রামের সদরপাড়া রেল গুমটির কাছে রেললাইনের ওপর থেকে অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়েছিল।

রেল পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, গত বুধবার সকালে মিরজাগঞ্জ রেলস্টেশনের প্রায় দুই কিলোমিটার উত্তরে মিরজাগঞ্জ-চিলাহাটি রেললাইনের সদরপাড়া গুমটির কাছে রেললাইনের ওপর দুই অজ্ঞাতপরিচয় কিশোরের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। পরে রেল পুলিশকে খবর দিলে সৈয়দপুর জিআরপি থানার পুলিশ গিয়ে লাশ দুটি উদ্ধার করে।

নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গের সামনে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কথা হয় জামাল হোসেন ও আবদুস সোবহানের সঙ্গে। তাঁরা জানান, বুধবার রাত আটটার দিকে সৈয়দপুর জিআরপি থানার পুলিশ মুঠোফোনে তাঁদের খবর দেয়। পরে রাত ১২টার দিকে তাঁরা নীলফামারী সদর থানায় এসে লাশ শনাক্ত করেন। মঈন উদ্দিন খালপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এবং রাশেদুল মুন্সিপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় পড়ত।

মঈন উদ্দিনের বাবা জামাল হোসেন বলেন, ওরা দুই বন্ধু মঈনের খালার বাড়ি নীলফামারীর চাদেরহাটে আসার কথা বলে গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে মুঠোফোনে তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও আর পাওয়া যাচ্ছিল না। এমনকি তারা ওই খালার বাড়িতেও না যাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর জিআরপি থানার উপপরিদর্শক আল ইমরান বলেন, ছেলে দুটির বন্ধ থাকা মুঠোফোন চালু করে সেখান থেকে তাদের পরিচয় জানা যায়।

সৈয়দপুর জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম লুৎফর রহমান বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে নিহত দুই কিশোরের ময়নাতদন্ত শেষে তাদের স্বজনদের কাছে লাশ দুটি হস্তান্তর করা হয়েছে।