রোহিঙ্গা ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদের ভূমিকায় আমি চরম হতাশ

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি ২৫ মে প্রথম আলোকে সাক্ষাৎকার দেন
ছবি: প্রথম আলো

ফিলিপ্পো গ্রান্ডি। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার। পাঁচ দিনের সফরে ২১ মে বাংলাদেশে এসেছিলেন তিনি। ২৫ মে প্রথম আলোকে সাক্ষাৎকার দেন তিনি। সাক্ষাৎকারে রোহিঙ্গা সংকটের নানা দিক নিয়ে তিনি খোলামেলা কথা বলেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রথম আলোর কূটনৈতিক প্রতিবেদক রাহীদ এজাজ

প্রশ্ন :

প্রথম আলো: মিয়ানমারের সেনা সরকার শেষ পর্যন্ত জাতিসংঘের সঙ্গে সই করা প্রত্যাবাসনবিষয়ক সমঝোতা স্মারকটি নবায়ন করেছে। এর ফলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কতটা অগ্রগতি হবে বলে মনে করছেন?

ফিলিপ্পো গ্রান্ডি: মিয়ানমার সরকার প্রত্যাবাসনের জন্য জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সঙ্গে ২০১৮ সালে সমঝোতা স্মারকটি (এমওইউ) সই করেছিল। অং সান সু চির সরকারের সঙ্গে করা এমওইউটির মেয়াদ ছিল তিন বছরের। এটি নবায়নের জন্য মিয়ানমারের সামরিক সরকারের সঙ্গে আমাদের আলোচনা করতে হয়েছিল। মিয়ানমারের সামরিক সরকারের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না থাকায় কাজটা আমাদের জন্য সহজ ছিল না। কিন্তু সমঝোতা স্মারকটির সঙ্গে মানবিক বিষয় জড়িত বলে মিয়ানমারের সেনা সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালানোর বিষয়ে সব পক্ষ আমাদের অনুমতি দিয়েছিল। কয়েক মাস আগে জাতিসংঘ আমাদের অনুমতি দেয়। আমি বিশ্বাস করি, এমওইউ নবায়নের ফলে আমাদের কাজের পরিধি বাড়ানো সম্ভব হবে।

বাংলাদেশে এসে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির ঘুরে আসেন জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি
ছবি: প্রথম আলো

প্রশ্ন :

এই মুহূর্তে কি আপনারা রাখাইনে অবাধে কাজ করতে পারছেন?

ফিলিপ্পো গ্রান্ডি: আমাদের কাজ করার সুবিধাটা, মানে রাখাইনে অবস্থানের বিষয়টি এমওইউর ওপর নির্ভর করে। এর মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় আমাদের এ সুবিধা ছিল না। চুক্তি নবায়নের পর এখন সেটা আবার পেয়েছি। এখানে বলে রাখা ভালো, মিয়ানমারে কাজ করতে হলে চুক্তির প্রয়োজন হয়। কোথাও যাওয়ার ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা করে অনুমতি নিতে হয়। আগের সরকারের ক্ষেত্রেও এ নিয়ম জারি ছিল।

প্রশ্ন :

তার মানে হচ্ছে, এখন থেকে আপনাদের অবাধে কাজের জন্য যাওয়া-আসার পথটা সুগম হলো?

ফিলিপ্পো গ্রান্ডি: আমাদের যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে কখনো বিধিনিষেধ ছিল না। এমনকি চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও আমাদের কাজ কিন্তু বন্ধ ছিল না। চুক্তির মেয়াদ শেষে আমাদের যাওয়া-আসা সীমিত হয়ে পড়েছিল। চুক্তি নবায়ন হওয়ায় এখন আমরা অবাধে কাজ করার সুযোগ পাব বলে আশা করছি।

প্রশ্ন :

আপনি বলছিলেন, অনুকূল পরিবেশ পেলে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সবাই রাখাইনে ফিরে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষার কথা আপনাকে জানিয়েছে। এক দশক আগে রাখাইনে জাতিগত সংঘাতের পর এখন পর্যন্ত অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুতদের শিবিরে (আইডিপি) এক লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে। এমন পরিস্থিতি কি বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফিরতে নিরুৎসাহিত করে না?

ফিলিপ্পো গ্রান্ডি: দেখুন, কয়েক বছর ধরে অবাধে চলাফেরার অধিকার, মৌলিক নাগরিক সেবার নিশ্চয়তা, নাগরিকত্বের সুস্পষ্ট পথনকশার বিষয়ে মিয়ানমারের কাছ থেকে যে বার্তা পেয়েছি, তা খুব আশাব্যঞ্জক নয়। আমি অং সান সু চিকে বলেছিলাম, আইডিপি থেকে এক লাখের বেশি রোহিঙ্গা যদি তাদের মূল ভূখণ্ডে ফিরে যেতে পারে, তাহলে তা নিজেদের পৈতৃক ভিটার বাইরে থাকা আরও বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে জন্মস্থানে ফিরতে উৎসাহ জোগাবে। তারা আশাবাদী হয়ে উঠবে। আইডিপি থেকে রোহিঙ্গাদের পৈতৃক ভিটায় ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে গত বছরের ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের আগে কিছুটা অগ্রগতি হচ্ছিল। আইডিপি শিবির থেকে কবে ও কীভাবে তাদের সরিয়ে নেওয়া হবে, তার কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে ক্ষমতার পালাবদলে সব ভেস্তে যায়। সামগ্রিকভাবে দেশটির সঙ্গে আলোচনার যে প্রক্রিয়া ছিল, সেটাও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সব মিলিয়ে এ পরিবর্তনকে একটা ধাক্কা বলা যায়। এখন জটিল পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরে আমাদের আবার নতুন করে শুরু করতে হবে।

রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন ফিলিপ্পো গ্রান্ডি
ছবি: প্রথম আলো

প্রশ্ন :

মিয়ানমারে রাজনৈতিক শক্তি ক্ষমতায় ফিরে এলে রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য নৃগোষ্ঠীর লোকজনের অবস্থার উন্নতি হবে বলে মনে করছেন কি?

ফিলিপ্পো গ্রান্ডি: আপনি কি এনইউজির (মিয়ানমারের নির্বাসিত সরকার) ক্ষমতায় আসার কথা বলতে চাইছেন?

প্রশ্ন :

এনইউজি নয়, মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক সরকারের ক্ষমতায় ফিরে আসার কথা বলছি।

ফিলিপ্পো গ্রান্ডি: আমি এটা বলতে পারব না। তবে আমার প্রত্যাশা থাকবে, মিয়ানমার আবার গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসবে। চলমান সহিংসতায় মিয়ানমারে ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে। এসব মানুষের সহায়তায় আমরা কাজ করছি। তাই আমি চাই, দেশটিতে পুনরায় গণতন্ত্র ফিরে আসুক। আমাদের সংস্থা মানবিক সহায়তায় যুক্ত থাকে। মিয়ানমারে যে-ই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, আমরা চাইব, তারা আমাদের কাজের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারবে।

প্রশ্ন :

ভাসানচরে আন্তর্জাতিক সহায়তার প্রসঙ্গে বলছিলেন, উন্নয়ন সহযোগীরা এ প্রকল্প নিয়ে আগ্রহী। কিন্তু প্রকল্পে অর্থায়নের ব্যাপারে তাদের দ্বিধা রয়েছে। ভাসানচরে তহবিল সহায়তার ব্যাপারে উন্নয়ন সহযোগীদের প্রশ্নগুলো কী?

ফিলিপ্পো গ্রান্ডি: দেখুন, টেকসই হবে না—এমন একটি প্রকল্পে কেউই অর্থায়নে আগ্রহী হয় না। এটা এমন একটা প্রকল্প, যেখানে অনেক রকমের অনিশ্চয়তা রয়েছে। সাগরের মাঝে অবস্থিত ভাসানচর একেবারে বিচ্ছিন্ন ও দুর্গম। বাংলাদেশ সফরের পর আমি বুঝতে পারছি, এ সমস্যাটা অনুধাবন করে প্রকল্পটিকে টেকসই করার কথা বাংলাদেশ সরকার বিবেচনায় নিয়েছে। ভাসানচরে যাতায়াতের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। প্রকল্পটিকে টেকসই করার আগে এ বিষয়ের সুরাহা জরুরি। বাংলাদেশের সঙ্গে জাতিসংঘের যে চুক্তি সই হয়েছে, তাতে রোহিঙ্গারা চাইলেই তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারবে, এ বিষয়ের উল্লেখ ছিল।

প্রশ্ন :

রোহিঙ্গা বলতে কি এখানে কক্সবাজার ও ভাসানচরে আলাদা আলাদাভাবে অবস্থানরত লোকজনের কথা বলছেন?

ফিলিপ্পো গ্রান্ডি: দেখুন, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা যুক্ত হয়েছি সমঝোতা স্মারকের পর। এর আগে কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের ওপর জোর খাটানোর অভিযোগ অনেকেই করেছেন। তবে আমাদের যুক্ততার পর রোহিঙ্গাদের জোর করে কক্সবাজার থেকে ভাসানচরের সরিয়ে নেওয়ার হার অনেক কমেছে। কিন্তু কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পুনর্মিলনের প্রক্রিয়াটা জটিল হয়ে পড়েছে। সীমিতসংখ্যক নৌযান, আবহাওয়া—অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করতে হয় লোকজনকে। এ ক্ষেত্রে ভাসানচরে থাকা এক তরুণের উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভাসানচরে গিয়ে নিজের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন ওই তরুণ। চাইলেই যেকোনো সময় কক্সবাজারে গিয়ে বৃদ্ধ বাবার সঙ্গে দেখার করার সুযোগ পাবেন, এটা জেনেই তিনি ভাসানচরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তবে ভাসানচরে যাওয়ার পর তিনি বুঝতে পেরেছেন, কক্সবাজারে আসা-যাওয়াটা মোটেই সহজ নয়। কখনো আসা-যাওয়ার ভাড়াটাও রোহিঙ্গাদের গুনতে হচ্ছে। এ বিষয়টির সুরাহা হওয়া জরুরি। ভাসানচর প্রকল্পকে টেকসই করতে হলে রোহিঙ্গাদের জন্য এসব সমস্যার সুরাহা করতে হবে।

প্রশ্ন :

কক্সবাজারের নিরাপত্তা নিয়ে রোহিঙ্গাদের কাছে কী ধারণা পেয়েছেন?

ফিলিপ্পো গ্রান্ডি: বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ ভালো ভূমিকা রেখেছে। মাঠপর্যায়ে তাদের সঙ্গে আমাদের যথেষ্ট যোগাযোগ রয়েছে। রোহিঙ্গা, বিশেষ করে রোহিঙ্গা নারীরা বেশ উদ্বিগ্ন। রোহিঙ্গা নারীদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, পরিবারের পুরুষেরা বাইরে গেলেই অপহরণের বিষয়ে তাঁরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। কাজেই নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ বলতে আমি বুঝি, তার বড় অংশটা মূলত অপরাধ–সংশ্লিষ্ট, রাজনীতি-সংশ্লিষ্ট নয়। তবে সেখানকার নিরাপত্তা পরিস্থিতির সঙ্গে রাজনৈতিক উপাদানও থাকতে পারে। ভাসানচরে যাওয়া রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, নিরাপত্তার দিকটি বিবেচনা করলে কক্সবাজারের তুলনায় তারা সেখানে অনেক ভালো আছে। এখানে আমি মনে করিয়ে দিতে চাই, শেষবার যখন বাংলাদেশে এসেছিলাম, তখন আমরা রোহিঙ্গাদের শিক্ষা নিয়ে বড় পরিসরে আলোচনা করেছিলাম। বাংলাদেশ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে পড়াশোনা করবে। রোহিঙ্গারা এটিকে ভালোভাবে নিয়েছে। এর ফলে রোহিঙ্গাদের মাঝে কিছুটা হলেও আশাবাদের সঞ্চার হয়েছে। এটি অনেক রোহিঙ্গাকে ব্যস্ততার মধ্যে রাখবে। শিশুরা স্কুলে যাবে। এ পরিবর্তন ইতিবাচক। আরেকটা বিষয় মনে রাখতে হবে, শিক্ষিত জনগোষ্ঠী সব সময় উগ্রপন্থা, সহিংসতার প্রলোভন থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখতে পারে।

প্রশ্ন :

প্রথম আলো: বৈশ্বিক শরণার্থী ১০০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আফগানিস্তান ও ইউক্রেন সংকট। এমন এক পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল সংগ্রহ নিয়ে কতটা চ্যালেঞ্জ আছে সামনের দিনগুলোয়?

ফিলিপ্পো গ্রান্ডি: রোহিঙ্গা শরণার্থীরা মিয়ানমারের ওপর আরও বেশি চাপ দিতে আমাকে অনুরোধ জানিয়েছে। তারা হয়তো আমাকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি মনে করে এ অনুরোধ করেছে। এটা তো অবশ্যই রাষ্ট্রের দায়িত্ব। শরণার্থীর সংখ্যা কেন ১০০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে? ১০ বছর আগে শরণার্থীর সংখ্যা ছিল ৪০ মিলিয়ন, যা এখন দ্বিগুণের বেশি। রাজনৈতিক ব্যর্থতার কারণেই বিশ্বে শরণার্থী পরিস্থিতি আজ এ জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে। একবার নিরাপত্তা পরিষদের দিকে তাকিয়ে দেখুন। বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা সংস্থাটির প্রধান কাজ। অথচ যে কাজের জন্য সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তার পরিসংখ্যান কিন্তু ভয়াবহ। নিরাপত্তা পরিষদ বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় পুরোপুরি ব্যর্থ। শান্তি প্রতিষ্ঠায় সংস্থাটির ব্যর্থতার কারণে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টাটাই করছে। কিন্তু মিয়ানমার যাতে সমস্যার সমাধানে সঠিক দায়িত্ব পালন করে, সে জন্য আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে হবে। এ জন্য যেসব দেশের প্রভাব রয়েছে, তাদের নিয়ে সমন্বিতভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে আমি নিজে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে উপস্থিত থেকে দেখেছি, মানবিক সহায়তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও সদস্যদেশগুলো নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ে মেতে ছিল। সবাই নিজের মতটাই চাপিয়ে দিতে চেয়েছে। এমন একটা পরিস্থিতিতে আপনি কীভাবে কাজ করবেন! এখন আমাকে ৪০ মিলিয়ন নয়, ১০০ মিলিয়ন শরণার্থীর জন্য তহবিল চাইতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে কাজ করাটাই আসলে দুঃসাধ্য। এ জন্য আমি চরম হতাশ।

প্রশ্ন :

প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ।

ফিলিপ্পো গ্রান্ডি: আপনাকেও ধন্যবাদ।