রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় পাহাড়িদের গ্রামে অগ্নিসংযোগ ও উচ্ছেদের ঘটনা তদন্তে আইন অনুসারে কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কমিশন ওই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতি কেন নিরূপণ করবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে।

বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গতকাল সোমবার এ রুল দেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে আট সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। কমিশন বিষয়ে অগ্রগতি আগামী তিন মাসের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন (কমপ্লায়েন্স) দাখিল করতে আগামী ৩ নভেম্বর পরবর্তী দিন রেখেছেন আদালত।

লংগদুর ঘটনায় তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে ২০ আগস্ট সেখানকার বাসিন্দা, ক্ষতিগ্রস্ত দুই ব্যক্তি, আইনজীবীসহ নয়জন রিট আবেদনটি করেন, যা গতকাল শুনানির জন্য ওঠে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহদীন মালিক, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. সুলতান উদ্দিন ও এম মনজুর আলম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।

স্থানীয় যুবলীগের এক নেতার মৃত্যুর ঘটনার জেরে গত ২ জুন সকালে লংগদু উপজেলা সদরের চারটি গ্রামে পাহাড়িদের দুই শতাধিক বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনায় বিচারিক তদন্ত চেয়ে ১২ জুন স্বরাষ্ট্রসচিব, সমাজকল্যাণসচিব, লংগদুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ১০ জন বরাবরে আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নিকোলাস চাকমা। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়, অন্যথায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়। জবাব না পেয়ে নিকোলাস চাকমাসহ ৯ জন ২০ আগস্ট রিটটি করেন বলে জানান আবেদনকারীদের অন্যতম আইনজীবী মো. সুলতান উদ্দিন।