‘লতা মঙ্গেশকর সংগীত ও কণ্ঠ সাধনার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, তা বিশ্বের সংগীতজগতে বিরল’

উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরফাইল ছবি: রয়টার্স

উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, লতা মঙ্গেশকর তাঁর সংগীতের মাধ্যমে অমর হয়ে থাকবেন।

আজ রোববার এক শোকবার্তায় লতা মঙ্গেশকরের আত্মার শান্তি কামনা করেন তথ্যমন্ত্রী। লতার শোকাহত পরিবারের প্রতিও গভীর সমবেদনা জানান তিনি। এর আগে সকালে ভারতের মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।

হাছান মাহমুদ শোকবার্তায় বলেন, ভারতের ৩৬টি আঞ্চলিক ও বিদেশি ভাষায় সংগীতের একমাত্র রেকর্ডধারী সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের ১০ সহস্রাধিক গান ভারতের সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশসহ দেশে দেশে মানুষের হৃদয়ে চিরদিনের জন্য স্থান করে নিয়েছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, জীবনভর সংগীত ও কণ্ঠ সাধনার যে অনন্য দৃষ্টান্ত তিনি স্থাপন করেছেন, তা বিশ্বের সংগীতজগতে বিরল। নিজ দেশ ও বিদেশের অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননার চেয়েও মানুষের ভালোবাসা তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন।

সাত দশক ধরে দর্শক ও সমালোচকের হৃদয় তৃপ্ত করে চলা লতা মঙ্গেশকর ১৯২৯ সালে ভারতের ইন্দোরে জন্মেছিলেন। তাঁর সংগীত ভারত ছাপিয়ে তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে বিশ্বসংগীতের দরবারে। লতা মঙ্গেশকর ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ১৯৪২ সালে, মারাঠি গান গেয়ে। ১৯৪৬ সালে তিনি প্রথম হিন্দি সিনেমার জন্য গান করেন।

লতা মঙ্গেশকর ৩৬টি ভাষায় গান গেয়েছেন। এর মধ্যে আছে বাংলাও। ‘প্রেম একবার এসেছিল নীরবে’, ‘আষাঢ়-শ্রাবণ মানে না তো মন’, ‘ও মোর ময়না গো’, ‘ও পলাশ ও শিমুল’, ‘আকাশপ্রদীপ জ্বেলে’সহ আরও অনেক বিখ্যাত বাংলা গানে কণ্ঠ দিয়েছেন উপমহাদেশের সংগীতের এ মহাতারকা।

২০০১ সালে লতা মঙ্গেশকর ভারতের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ভারতরত্ন অর্জন করেন। ১৯৮৯ সালে তিনি দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পান।