লাল কমল আর নীল কমল

টিআইসিতে ফেইমের শিশু নাট্যদলের লাল কমল আর নীল কমল নাটকের একটি দৃশ্য l সংগৃহীত
টিআইসিতে ফেইমের শিশু নাট্যদলের লাল কমল আর নীল কমল নাটকের একটি দৃশ্য l সংগৃহীত

রাক্ষস-খোক্কস, ব্যাঙ্গমা-ব্যাঙ্গমি, রাজা-রানি আর রাজপুত্র। রূপকথার এসব চরিত্র চোখের সামনে হাজির হলো থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম (টিআইসি) মিলনায়তনে। গত সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় ফেইম স্কুল অব ড্যান্স, ড্রামা অ্যান্ড মিউজিকের শিশুনাট্য বিভাগ প্রযোজিত লাল কমল আর নীল কমল শ্রুতিনাটক দেখে দর্শক ফিরে গিয়েছিল ছেলেবেলার রূপকথার জগতে। নাটকের নির্মাণ ভাবনায় ছিলেন নিশিগন্ধা দাশগুপ্তা ও মুবিদুর রহমান।

দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের ঠাকুরমার ঝুলির গল্প ‘লাল কমল আর নীল কমল’ অবলম্বনে এই শ্রুতিনাটকের শুরুতে হাজির করা হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। বাংলার হারিয়ে যাওয়া রূপকথার সংকলন ঠাকুরমার ঝুলির গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি দর্শকদের সামনে। এরপর অনন্য এই রূপকথা রচয়িতা দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারও মঞ্চে আসেন। দর্শকদের শোনান তাঁর রূপকথা রচনার পটভূমি। ছেলেবেলায় ঠাকুরমার কাছে শোনা নানা গল্পের কথা। রবীন্দ্রনাথের চরিত্রে সৌম্য চৌধুরী ও দক্ষিণারঞ্জনের চরিত্রে চৌধুরী মো. বায়েজিদের অভিনয় ছিল স্বতঃস্ফূর্ত।

এরপরই শুরু হয় মূল গল্প। খুদে কথকেরা কথার ছন্দে পরিবেশন করে লাল কমল আর নীলকমলের গল্প। এক রাজার দুই রানি। কিন্তু এক রানি যে আদতে রাক্ষসী তা কেউ জানে না। তার অত্যাচারে রাজ্য ছাড়া হচ্ছে প্রজারা। রাজপুত্র নীল কমল রাক্ষসীর ছেলে হলেও সৎভাই লাল কমলকে নিয়ে রক্ষস-খোক্কসসহ অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে। সেই রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে জয় হয় রাজপুত্রদের। নাটকে কথক চরিত্রে অভিনয় করে অন্বেষা দাশ, সৌম্য রায়, ইয়াশা ইসলাম চৌধুরী, সুজলা স্রবন্তি আহমেদ, স্বনন সরোবর আহমেদ, কাব্যকথা প্রতীতি, প্রণম্য অনিন্দ্য, অর্ঘ্যশ্রী চৌধুরী, অদ্বিতীয়া দেবী, অর্চি অনিন্দিতা, মিথিলা দে, অহনা বিশ্বাস ও দেবদ্যুতি ভট্টাচার্য।

বন্যার্তদের জন্য সাংস্কৃতিক আয়োজন

বন্যাকবলিতদের সাহায্যার্থে সাংস্কৃতিক আয়োজনের আসর বসছে আজ বুধবার সন্ধ্যা সাতটায় নগরের জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে। দুই ঘণ্টার এ আয়োজনে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস ও ব্যান্ডদল ‘নাটাই’ এর গান ও কবিতা থাকছে। টিকিট পাওয়া যাবে অনুষ্ঠানস্থলে।