শতবর্ষপূর্তি উৎসব ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর

আগামী ১ জানুয়ারি পটুয়াখালী শহরে অবস্থিত মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান লতিফ মিউনিসিপ্যাল সেমিনারির শতবর্ষপূর্তি। এ উপলক্ষে ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর দুই দিনব্যাপী উৎসবের আয়োজন করেছে বিদ্যালয়টির কর্তৃপক্ষ।
১৯১৬ সালের ১ জানুয়ারি ছোট্ট একটি টিনের ঘরে ১৬ জন শিক্ষার্থী নিয়ে পথ চলা শুরু বিদ্যালয়টির। বর্তমানে এ বিদ্যাপীঠে ৭৫০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।
এলাকার কয়েকজন বলেন, বিদ্যালয়টি দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য মেধাবী শিক্ষার্থী তৈরি করেছে, যাঁরা নিজ গুণে আলোকিত করে চলেছেন বিশ্ব। পৃথিবীর যে প্রান্তেই ছড়িয়ে থাকুন না কেন, গর্ব করে বলতেই পারেন, তাঁরা লতিফ মিউনিসিপ্যাল সেমিনারির ছাত্র।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্র জানায়, উপকূলীয় নদ-নদীবেষ্টিত পটুয়াখালী অঞ্চল বরাবরই শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে ছিল। ১৮৭১ সালে পটুয়াখালী মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হলে এখানে শিক্ষা প্রসারে কিছু উদ্যোগ লক্ষ করা যায়। ১৯১৬ সালে তৃতীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় লতিফ মিউনিসিপ্যাল সেমিনারি। শুরুতে বিদ্যালয়টি প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ছিল। ১৯৭৫ সালে প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ হলে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লতিফ মিউনিসিপ্যাল সেমিনারি থেকে আলাদা হয়ে ‘লতিফ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে’ রূপ নেয়। সেটি বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থিত।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ১৯১৬ সালে বিদ্যোৎসাহী হিসেবে পরিচিত আবদুল লতিফ ছিলেন তৎকালীন মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট এবং একই সঙ্গে পটুয়াখালী মিউনিসিপ্যালিটির প্রশাসক। তাঁর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় এ বিদ্যাপীঠ। তিনি ছাড়াও তৎকালীন সমাজহিতৈষী রায় বাহাদুর শাম চন্দ্র সিমলাই, বিহারি লাল সেনগুপ্ত, রামধন চক্রবর্তী প্রমুখ বিদ্যালয়টি স্থাপনে ভূমিকা পালন করেন। আবদুল লতিফের নামানুসারে বিদ্যালয়টির নামকরণ করা হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উৎসব হবে।
অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্মৃতিচারণাসহ নানা অনুষ্ঠান।