শাহজালালে আবার বিমানের বোয়িং উড়োজাহাজে ধাক্কা
ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আবারও উড়োজাহাজে ধাক্কার ঘটনা ঘটেছে। এবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজকে ধাক্কা দিয়েছে ইউএস–বাংলা এয়ারলাইনসের একটি গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইকুইপমেন্ট (জিএসই)। বিমানের ওই উড়োজাহাজটি বসিয়ে (গ্রাউন্ডেড) রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় বিমান তদন্ত করছে।
বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত শনিবার রাত ১০টার দিকে বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে। সে সময় বিমানের একটি বোয়িং-৭৩৭ উড়োজাহাজ বে এরিয়াতে অপেক্ষমাণ ছিল। তখন ইউএস–বাংলার একটি জিএসই ডলি-ট্রলি (মালামাল নেওয়ার গাড়ি) বিমানের বোয়িং-৭৩৭ কে ধাক্কা দেয়। এতে উড়োজাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গ্রাউন্ডেড হয়। বিমানের এ উড়োজাহাজের পরদিন রোববার চট্টগ্রামে যাওয়ার কথা ছিল।
বিমান জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত ওই উড়োজাহাজ মেরামত করার বিষয়ে বোয়িং কোম্পানির অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এ ক্ষতির জন্য যে টাকা প্রয়োজন হবে, তা ইউএস–বাংলা এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ বহন করবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, বে এরিয়াতে আগে থেকে বিমানের ওই উড়োজাহাজটি পার্ক করা ছিল। এ সময় ওই উড়োজাহাজের সামনে দিয়ে ইউএস–বাংলার একটি ডলি-ট্রলি যেতে থাকে। ট্রলির পেছনের দুটি অংশ ছুটে গিয়ে বিমানের উড়োজাহাজের সামনে ধাক্কা দেয়।
এ ঘটনা নিশ্চিত করেছেন বিমানের মুখপাত্র ও মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার। তিনি আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, বিমানের ওই উড়োজাহাজটি মেরামত করার বিষয়ে বোয়িং কোম্পানিকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। বোয়িং কর্তৃপক্ষের অনুমোদন আসার পর দুই দিনের মধ্যে উড়োজাহাজটি মেরামত করা হবে।
এর আগে গত ১০ এপ্রিল দুপুরে বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারে বিমানের দুটি উড়োজাহাজের ধাক্কা লাগে। হ্যাঙ্গার থেকে একটি বোয়িং-৭৩৭ বের করার সময় সেখানে থাকা আরেকটি বোয়িং-৭৭৭ উড়োজাহাজকে ধাক্কা দেয়। এ সময় দুটি উড়োজাহাজই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই ঘটনায় অসতর্কতার প্রমাণ পাওয়ায় বিমানের মুখ্য প্রকৌশলীসহ পাঁচ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে বিমান।
বিমানের একটি সূত্র বলছে, হ্যাঙ্গারে উড়োজাহাজ বের করা ও রাখার সময় যে নিয়ম বা প্রটোকল আছে, সেগুলো যথাযথভাবে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সার্ভিসে দায়িত্বপ্রাপ্তরা মানেন না। এতে ধাক্কার ঘটনাগুলো ঘটে থাকে।
বর্তমানে বিমানের উড়োজাহাজের সংখ্যা ২১টি। এর মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, চারটি বোয়িং ৭৮৭-৪, দুটি বোয়িং ৭৮৭-৯, ছয়টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এবং পাঁচটি ডিসি ৮-৪০০। ১৯টি আন্তর্জাতিক এবং সাতটি অভ্যন্তরীণ গন্তব্যে বিমানের ফ্লাইট চলছে।