শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালককে অব্যাহতি

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
ফাইল ছবি

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালকের পদ থেকে জহির উদ্দিন আহমদকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এই পদে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক আমিনা পারভীনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেন স্বাক্ষরিত এক দাপ্তরিক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, অসুস্থতার কারণে ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালকের পদ থেকে জহির উদ্দিন আহমদকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত আমিনা পারভীন শিগগিরই যোগদান করবেন। তবে তিনি কবে যোগ দেবেন, সেটি নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীদের পক্ষে সুদীপ্ত ভাস্কর ও শাহরিয়ার আবেদীন ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালককে অব্যাহতি ও নতুন নিয়োগ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তাঁরা লিখিত বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, ১৬ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার নির্দেশদাতা হিসেবে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগ বা অপসারণের দাবি জানানো হচ্ছিল। পাশাপাশি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক এবং প্রক্টরিয়াল বডি অপসারণের দাবি করা হয়। ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালককে অব্যাহতি দিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাধ্য হলেও শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসের প্রায় ১১ দিন পেরিয়ে পরও শিক্ষার্থীদের ওপর ঝুলে থাকা মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হয়নি। অনেক শিক্ষার্থীর মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট বন্ধ আছে, যা খুলে দেওয়ার কোনো দৃশ্যমান প্রচেষ্টা চালানো হয়নি।

গত ১৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অসদাচরণসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ ছাত্রী। ১৬ জানুয়ারি দাবি আদায়ের লক্ষ্যে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করা অবস্থায় পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে এবং তাঁদের লক্ষ্য করে শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। পরে এই আন্দোলন উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রূপ নেয়। প্রথম ছয় দিনে দাবি পূরণ না হওয়ায় ১৯ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেন ২৪ শিক্ষার্থী। তাঁদের একজনের বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ায় বাড়ি চলে যান তিনি। ২২ জানুয়ারি রাত ৮টা থেকে আন্দোলনরত আরও ৫ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশনরতদের সঙ্গে যোগ দিয়ে গণ–অনশন কর্মসূচি শুরু করেন। ২৬ জানুয়ারি সকালে অনশনস্থলে এসে লেখক ও বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষক মুহম্মদ জাফর ইকবাল অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙান।