শিক্ষক ও কক্ষ-সংকটে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত

শিক্ষক-কর্মচারী, শ্রেণিকক্ষ, ছাত্রাবাস, পরিবহনসহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত রাজবাড়ী সরকারি কলেজ। এতে কলেজে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬১ সালে স্থাপিত কলেজটি ১৯৮০ সালে সরকারি করা হয়। বর্তমানে কলেজটিতে ১৪টি বিষয়ে সম্মান কোর্স চালু রয়েছে। এর মধ্যে সাতটি বিষয়ে সম্মান ও স্নাতকোত্তর কোর্স চালু রয়েছে। এ ছাড়া স্নাতকোত্তর প্রিলিমিনারি কোর্সের চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া গেছে। কলেজটিতে শিক্ষকের পদ রয়েছে ৭৭টি। বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন ৫৭ জন শিক্ষক। এর মধ্যে ইতিহাস ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপকের পদ শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। তবে এনাম কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একাদশ-দ্বাদশসহ স্নাতক কোর্স চালু থাকলে প্রতিটি বিষয়ের জন্য অন্তত সাতজন ও স্নাতকোত্তর শ্রেণি চালু থাকলে অন্তত ১২ জন শিক্ষক প্রয়োজন। এতে এখানে মোট ১৩৩ জন শিক্ষকের প্রয়োজন।
কলেজে একাডেমিক ভবন রয়েছে তিনটি। এসব ভবনের মধ্যে দুটি তিনতলা ও একটি চারতলা। এসব ভবনে শ্রেণিকক্ষ ছাড়াও প্রতিটি বিভাগের শিক্ষকদের কক্ষ রয়েছে। ভবনগুলোতে সব মিলিয়ে কক্ষ রয়েছে ৩৪টি। কক্ষ-সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। এখানে প্রায় আট হাজার শিক্ষার্থী রয়েছেন। তাঁদের জন্য মাত্র তিনটি ছাত্রাবাস রয়েছে। এর মধ্যে মশাররফ হোসেন ছাত্রাবাসে ৭২টি আসন, বিদ্যাসাগর হলে ৪০ ও নারীদের জন্য খালেদা জিয়া ছাত্রীনিবাসে ১০০ আসন রয়েছে।
কলেজে তৃতীয় শ্রেণির আটটি পদের মধ্যে পাঁচটি ও চতুর্থ শ্রেণির ২৭টি পদের মধ্যে ১৭টি পদ শূন্য রয়েছে। ২০০৫ সালের পর এসব পদে কোনো নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া কলেজে পরিবহন-সমস্যা রয়েছে। কলেজে কোনো মিলনায়তন নেই।
হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফরিদুল ইসলামসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘কলেজের ছাত্রাবাসে আসনসংখ্যা কম থাকায় অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে বাইরে থাকতে হচ্ছে। এতে তাঁদের খরচ বেশি হচ্ছে ও তাঁরা নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘শিক্ষক, শ্রেণিকক্ষ-সংকটসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। নতুন একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। আরও দুটি ছাত্রাবাস নির্মাণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’