শিক্ষা মানবতার দরজা খুলে দেয়

শিক্ষা মানুষকে নতুন পথ দেখায় ও মানবতার দরজা খুলে দেয়। তাই মানুষের মন জাগ্রত না হলে সমাজে পরিবর্তন আনা যায় না। এ কারণে মানুষকে সবার আগে মানুষ হতে হবে। পাশাপাশি ধর্মীয় সম্প্রীতি তৈরি করার দায়িত্ব সমাজের সবার।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজ মিলনায়তনে বিশ্ববরেণ্য মানবতাবাদী দার্শনিক মহানামব্রত ব্রহ্মচারীর শিক্ষা-ভাবনা বিষয়ের ওপর এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। কলেজের দর্শন বিভাগ এ সেমিনারের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী নুরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানাম সম্প্রদায় বাংলাদেশের সভাপতি শ্রীমৎ কান্তি বন্ধু ব্রহ্মচারী, শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ নিখিল রঞ্জন ভট্টাচার্য, বৃন্দাবন সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ অজয় কুমার দাশ মহালদার, একই কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক দেওয়ান জামাল উদ্দিন চৌধুরী ও দর্শন বিভাগের প্রধান মো. তোফাজ্জল আলী। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বৃন্দাবন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবদুল মালেক।
কাজী নুরুল ইসলাম বলেন, মহানামব্রত ব্রহ্মচারী শুধু একজন বিশ্ববরেণ্য দার্শনিকই ছিলেন না, তিনি ছিলেন এ দেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। তিনি শিখিয়ে গেছেন মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও আন্তধর্মীয় সম্প্রীতি। সেই মানুষটি আজ নিজ দেশেই অবহেলিত। স্বাধীনতার এত বছর পরও তাঁকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। তাঁকে মরণোত্তর স্বাধীনতার পদক দেওয়ার দাবি জানান তিনি।