শিল্পীদের নান্দনিক ভাবনায় কবিগুরুর প্রতিকৃতি

প্রদর্শনীতে শিল্পীদের আঁকা ছবির পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিজের আঁকা ছবি আর আত্মপ্রতিকৃতিও রাখা হয়েছে ১৯টি।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিকৃতি নিয়ে প্রদর্শনী ‘রবীন্দ্রনামা’র শিল্পকর্ম দেখছেন এক দর্শক। গতকাল মোহাম্মদপুরের কলাকেন্দ্রে
ছবি: প্রথম আলো

যেদিকে চোখ যায় দেয়ালে দেয়ালে শুধু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি। মোহাম্মদপুরের ১/১১ ইকবাল রোডের কলাকেন্দ্রের প্রতিটি প্রদর্শন কক্ষ রবীন্দ্রময়। কারণ, কবিগুরুকে নিয়েই এখানে চলছে এক ব্যতিক্রমী শিল্পকর্ম প্রদর্শনী। নাম ‘রবীন্দ্রনামা’। রবীন্দ্রনামা শুরু হয়েছে গত ২৭ মে, চলবে ১২ জুন পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকেল চারটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলে প্রদর্শনী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অতিথি ছিলেন প্রাবন্ধিক, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন। কলাকেন্দ্রের পরিচালক শিল্পী ওয়াকিলুর রহমান ছিলেন সঞ্চালক। কিবরিয়া প্রিন্ট মেকিং স্টুডিও এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে কবিগুরুর সার্ধশত জন্মবার্ষিকী স্মরণ করে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের ছবি একটা সময় শিক্ষিত সংস্কৃতিমান বাঙালি পরিবারে বসার ঘরের দেয়ালে শোভা পেত। সেসব অবশ্য ক্যামেরায় তোলা ছবি। রবীন্দ্রনামা প্রদর্শনীর ছবিগুলো তেমন নয়। দেশের খ্যাতিমান অগ্রগণ্য শিল্পী থেকে তরুণ প্রজন্মের সম্ভাবনাময় ৬৭ জন শিল্পী তাঁদের নান্দনিক ভাবনায় এঁকেছেন কবির প্রতিকৃতি। সবাই এঁকেছেন একই মাধ্যমে, একই আকারে। সব কাজই ছাপচিত্রের এচিং অ্যাকোয়াটিন্ট মাধ্যমে করা। মোট শিল্পকর্ম ৭১টি।

প্রদর্শনীর শিল্পীদের মধ্যে আছেন সমরজিৎ রায়চৌধুরী, রফিকুন নবী, মনিরুল ইসলাম, আবুল বারক আলভী, হামিদুজ্জামান খান, শহীদ কবির, বীরেন সোম, নিসার হোসেন, জামাল আহমেদ, শেখ আফজাল, শিশির ভট্টাচার্য, ওয়াকিলুর রহমান, রণজিৎ দাস, ঢালি আল মামুন, আইভি জামান, দিলারা বেগম, ফারেহা জেবা, আতিয়া ইসলাম, গুলশান হোসেন, জয়া শাহরিন হক, রশীদ আমিন, তরুণ ঘোষ, এ এইচ ঢালি তমাল, রনি আহমেদসহ অনেকে।

এই ছাপচিত্রগুলো নিয়ে ‘রবীন্দ্রনামা’ নামে সুদৃশ্য ফোলিও তৈরি করা হয়েছে। আয়োজকেরা জানান, প্রতিটি ফোলিওতে ৭১টি করে মূল ছাপচিত্র রয়েছে। মোট ৫০টি ফোলিও করা হয়েছে। শিল্পসংগ্রাহক বা রবীন্দ্র অনুরাগীরা এটি নিজের সংগ্রহে রাখার জন্য বা কাউকে উপহার হিসেবে দেওয়ার জন্যও কিনতে পারেন। দাম এক লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতিটি মূল ছাপচিত্রের দাম পড়বে দেড় হাজার টাকার কম।