শেষ হলো সেই স্মৃতিস্তম্ভের কাজ

স্মৃতিস্তম্ভে নামের তালিকায় রংপুর জেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার শহীদ মুখতার ইলাহীর নাম বাদ পড়ায় বিক্ষুব্ধ জনতা স্মৃতিস্তম্ভটির একটি অংশ ভেঙে ফেলেছিল ২০০৫ সালে। সেই থেকে এটি অসম্পন্ন অবস্থায় পড়ে ছিল। অবশেষে ১১ বছর পর স্মৃতিস্তম্ভটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হলো।
প্রতিবছর বিজয়ের মাস এলেই এই স্মৃতিস্তম্ভে রংপুরের উল্লেখযোগ্য শহীদদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন মানববন্ধন ও সমাবেশ করে এলেও তা এত দিন বাস্তবায়িত হয়নি। শেষ পর্যন্ত এবার ডিসেম্বর আসার আগেই নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে স্মৃতিস্তম্ভে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ খন্দকার মুখতার ইলাহীর নাম যুক্ত করে নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হলো। এক প্রতিক্রিয়ায় মুখতার ইলাহীর ছোট ভাই মারুফ ইলাহী প্রথম আলোকে বলেন, ‘এত বছর পর ভাইয়ের নাম যুক্ত হওয়ায় বেশ ভালো লাগছে।’
গণপূর্ত বিভাগ সূত্র জানায়, রংপুর শহরের এতিহ্যবাহী কালেক্টরেট মাঠের পূর্ব দিকে (বর্তমানে সুরভি উদ্যান) ২০০৫ সালের আগস্টে জেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম লিখে স্মৃতিস্তম্ভটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ও জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে এটি নির্মাণ করে গণপূর্ত বিভাগ। নির্মাণে ব্যয় হয় সাড়ে ১০ লাখ টাকা। কিন্তু এই স্মৃতিস্তম্ভে জেলার আটটি উপজেলার মধ্যে পীরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ উপজেলা বাদে ছয়টি উপজেলার ৩৫ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হলেও বাদ পড়ে যায় রংপুরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মুখতার ইলাহীর নাম। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা স্মৃতিস্তম্ভের একটি অংশ ভেঙে ফেলে। সেই থেকে সংস্কারহীন ও অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে ছিল এটি।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোছাদ্দেক হোসেন বলেন, তাঁদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ বছর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নামের তালিকা ঠিক করে স্মৃতিস্তম্ভটি পুনর্নির্মাণ করা হলো।