শোয়েবের পেটে দুটো ভ্রূণ ছিল

শোয়েব যখন মাতৃগর্ভে, তখন তার পেটের ভেতর ঢুকে পড়েছিল দুটি ভ্রূণ। নিদারুণ অস্বস্তিতে ভোগা শিশুটির পেট থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসকেরা ভ্রূণ দুটো অপসারণ করেছেন। ছয় মাস বয়সী শোয়েব এখন ঝুঁকিমুক্ত।
বিএসএমএমইউর চিকিৎসকেরা বলছেন, শিশুর পেটের ভেতর একটি ভ্রূণ ঢুকে পড়ার ঘটনা বিশ্বে অনেক আছে। তবে কোনো শিশুর পেটে একাধিক ভ্রূণের উপস্থিতির ঘটনা বিরল। শিশু শোয়েবসহ চিকিৎসা-বিজ্ঞানের ইতিহাসে মোট চারটি শিশুর শরীরে একাধিক ভ্রূণের উপস্থিতির কথা তাঁরা জানতে পেরেছেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই অবস্থাকে বলা হয় ‘ফিটাস ইন ফিটু’। গর্ভকালীন অবস্থায় যখন একাধিক ভ্রূণ মাতৃগর্ভে অবস্থান করে, তখন একটি ভ্রূণের পেটের ভেতর অন্য ভ্রূণগুলো ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটে।
গতকাল সকাল নয়টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিএসএমএমইউর পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান শফিকুল হকের নেতৃত্বে নয় সদস্যের একটি চিকিৎসক দল শোয়েবের অস্ত্রোপচার করে। শফিকুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘অস্ত্রোপচারটি ছিল বেশ জটিল। শোয়েবের পেটের ভেতর ঢুকে পড়া ভ্রূণ দুটির অবস্থান ছিল পাকস্থলী, যকৃৎ ও পিত্তথলির পেছনে।’
শোয়েবের বাবা আবুল কাশেম জানান, ‘ডাক্তাররা বলছেন, সব ঠিক থাকলে ওর মায়ের তিনটি বাচ্চা একসঙ্গে হতো। ছেলে সুস্থ আছে। আমরা খুশি।’