শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা: মালিক-শ্রমিককে এগিয়ে আসতে হবে

কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তায় সচেতনতা অনেক জরুরি। এই ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের মালিক ও শ্রমিক উভয়কেই এগিয়ে আসতে হবে।
আজ রোববার বিকেলে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে ‘কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) গোলটেবিল বৈঠক আয়োজনে সহযোগিতা করে।
বৈঠকে প্রধান অতিথি শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো.মুজিবুল হক বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পরে কর্মক্ষেত্রে পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টি বেশি সামনে এসেছে। কর্মক্ষেত্র ভালো কাজের পরিবেশের জন্য শ্রমিক ও মালিকদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। সবাইকে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
এনভয় গ্রুপের চেয়ারম্যান কুতুবউদ্দিন বলেন, মালিক ও শ্রমিক দুই পক্ষকেই পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তায় কাজ করতে হবে। দুই পক্ষকেই শ্রমিক ইউনিয়ন সম্পর্কে বুঝতে হবে। শ্রমিকদের উপেক্ষা করে শিল্পের উন্নয়ন সম্ভব হবে না বলে মনে করেন তিনি।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, অধিক উৎপাদনের জন্য শ্রমিকদের চাপ দিয়ে বেশি কাজ করানো হয়। কম দামে বেশি কাজ করানো হয়। এটি হতে দেওয়া যাবে না। শ্রমিকদের নিরাপত্তা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। বেসরকারি খাতকে নিয়ে এসব কাজ করতে হবে একই সঙ্গে সরকারের বাজেটও বাড়াতে হবে।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর জেনারেল মো. সামছুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, শ্রমিকের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা না থাকলে ব্যাধি বেশি হবে। এ জন্য সচেতন থাকা জরুরি। কারখানায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার ব্যবস্থা থাকতে হবে তাহলে রোগের পরিমাণ কমে আসবে।
সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের নাজমা আখতার শ্রমিকদের কথা বলার অধিকারকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন। তিনিও পেশাগত ব্যাধি দূর করার ওপর জোর দেন। গোলটেবিলে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ওয়াজেদুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি সেলিমা আহমেদ, আইএলও কর্মকর্তা লুইস ভেনগাস, আলবার্টো সারডা ও স্টিভ নিউহ্যাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।