সংস্কার না হওয়ায় বেহাল নজিপুর-সাপাহার সড়ক

নওগাঁ-সাপাহার আঞ্চলিক মহাসড়কের নজিপুর থেকে সাপাহার পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় এখন বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্ত আর খানাখন্দ থাকায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।
নওগাঁ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে নজিপুর থেকে সাপাহার পর্যন্ত সড়কটি প্রশস্ত করে আঞ্চলিক মহাসড়কে রূপান্তরিত করার জন্য ফলক উন্মোচন করেন তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদা। গত বছর নজিপুর থেকে বাকরইল মোড় পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার রাস্তা প্রশস্ত করা হয়। আঞ্চলিক মহাসড়ক হলেও বাকরইল থেকে সাপাহার পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা এখনো প্রশস্ত করা হয়নি। এ ছাড়া গত আট বছরে পুরো সড়কে বড় ধরনের কোনো সংস্কারকাজ হয়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নওগাঁ সদর থেকে নজিপুর পৌরসভা পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কটির অবস্থা তুলনামূলকভাবে ভালো হলেও নজিপুর পৌরসভা থেকেই সড়কটির বেহাল দশার শুরু। সড়কে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। পিচ ও ইটের খোয়া উঠে গেছে। কোথাও কোথাও গর্তগুলোতে ভাঙা ইট ফেলে গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সড়কটির কঞ্চিপুকুর, পেজাপাড়ার মোড়, বটতলী, মধুইল, মানাসি মোড়, করমজাই, বাকরইলসহ বিভিন্ন মোড়ে রাস্তার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। বাকরইল থেকে সাপাহার পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সড়কের পাশের মাটিও ধসে পড়েছে।
সড়কটি ব্যবহারকারী বেশ কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাপাহার এবং পত্নীতলা উপজেলার সঙ্গে ঢাকা, রাজশাহী ও নওগাঁর যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এই সড়ক। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে শতাধিক যাত্রীবাহী বাস, মালবাহী ট্রাক, ভটভটি, অটোরিকশাসহ নানা ধরনের যানবাহন চলাচল করে। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় সাপাহার এবং পত্নীতলা উপজেলার কয়েক লাখ মানুষকে।
সড়কটি ব্যবহারকারী মাইক্রোবাসচালক রশিদ বলেন, সুস্থ মানুষ এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গেলে অসুস্থ হয়ে পড়বে। এই রাস্তা দিয়ে রোগীদের নিয়ে গেলে খুবই সাবধানে গাড়ি চালাতে হয়।
আমানিয়া পরিবহনের মালিক নজিবর রহমান বলেন, এ রাস্তায় বাস চলাচলের সময় আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়। রাস্তার এ অবস্থার কারণে গাড়ির ইঞ্জিন ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ প্রায়ই নষ্ট হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে নওগাঁ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী হামিদুল হক বলেন, ‘আঞ্চলিক এই মহাসড়কটি সংস্কারের জন্য বড় একটি উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, দু-এক মাসের মধ্যেই টেন্ডার আহ্বান করা হবে। এরপর ঠিকাদার নির্বাচন করে রাস্তাটির সংস্কারকাজ করা হবে। তবে টেন্ডার আহ্বান, ঠিকাদার নির্বাচন করে সংস্কারকাজ শুরু করতে কমপক্ষে চার মাস লাগবে।’