‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’ গেয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার জন্য একাত্মতা জানাতে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা শহরও যুক্ত হয়েছে।
গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে সবাই একসঙ্গে গেয়ে ওঠেন ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি...’। আমাদের আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
বরিশাল: বঙ্গবন্ধু উদ্যানে কয়েক হাজার মানুষ। ঘড়ির কাঁটায় ঠিক ১১টা বাজার ১৫ সেকেণ্ড আগে থেকে ক্ষণ গণনা শুরু করেন মঞ্চের শিল্পীসহ উদ্যানে দাঁড়ানো মানুষ। এরপর সবাই একসঙ্গে গেয়ে উঠেন ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি...’।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং বরিশালের ২৭ সংগঠনের জোট বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সহযোগিতায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
একই সঙ্গে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, জিলা স্কুলসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও চলে একই আয়োজন।
খুলনা: নগরের আটটি স্থানে লাখো মানুষ জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন।
খুলনা জেলা স্টেডিয়াম, শহীদ হাদিস পার্ক, রূপসা ঘাট এলাকা, পাবলিক হল চত্বর, বয়রা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠ, খালিশপুর হাজী মুহাম্মদ মুহসিন কলেজ মাঠ, দৌলতপুর শহীদ মিনার চত্বর এবং শিরোমনি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর ও মহারাজ চত্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এসব স্থানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, যুবক, বৃদ্ধসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।
এ ছাড়া খুলনা প্রেসক্লাব ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনেও একই সময় জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
ফরিদপুর: শহরের শেখ জামাল স্টেডিয়ামে ৩০ সেকেন্ডের ক্ষণ গণনা শেষে ১১টায় হাজারো জনতা সমবেত কণ্ঠে পরিবশন করেন জাতীয় সংগীত।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
যশোর: শহরের টাউন হল মাঠ, মনিহার চত্বর, পালবাড়ী মোড়, চাচড়া ও মুরুলী মোড় এবং খাজুরা স্ট্যান্ডে সমবেত কয়েক হাজার মানুষ জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন।
এ ছাড়া পটুয়াখালী স্টেডিয়ামে জাতীয় সংগীত গাইলেন ২০ হাজার মানুষ।
মাগুরা স্টেডিয়ামে ও সরকারি হোসেন শহীদ সোহ্্রাওয়ার্দী কলেজ চত্বরে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। একইভাবে কুষ্টিয়া জেলা স্টেডিয়াম, বাগেরহাট, রাজবাড়ী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঞ্চৃতিসৌধে মানুষ একসঙ্গে জাতীয় সংগীত গান।