সবার জন্য শিক্ষার লক্ষ্য অর্জনে নিচের সারিতে বাংলাদেশ

কখনো বিদ্যালয়ে যায়নি এমন শিশুর সংখ্যা ২০০০ সাল থেকে অর্ধেকেরও বেশি কমিয়েছে বাংলাদেশ। তার পরও দেশটি ‘সবার জন্য শিক্ষা’ অর্জনে সবচেয়ে ধীরগতিতে অগ্রসরমাণ ২০টি দেশের তালিকায় রয়েছে। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। খবর ইউএনবির।
‘এডুকেশন ফর অল ২০০০-২০১৫: অ্যাচিভমেন্টস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস’ শীর্ষক ইউনেসকোর প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সবার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্য অর্জনের ‘কাছাকাছি’ থাকলেও বিদ্যালয়ে ছেলে ও মেয়েশিশুর সংখ্যায় সমতা অর্জন করা থেকে ‘দূরে’ এবং বয়স্ক মানুষের নিরক্ষরতার হার অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্য থেকে ‘অনেক দূরে’ অবস্থান করছে। বৈশ্বিক পর্যায়ে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ দেশ সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য ২০০০ সালে নির্ধারিত লক্ষ্যগুলো অর্জনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। আর সবাইকে প্রাথমিক শিক্ষার আওতায় আনার লক্ষ্য অর্জন করতে পেরেছে মাত্র অর্ধেক দেশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য বিভিন্ন দেশের সরকারি ব্যয়ের সঙ্গে বছরে অতিরিক্ত ২ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার যোগ করা প্রয়োজন। সবার জন্য শিক্ষাবিষয়ক ইউনেসকোর বৈশ্বিক পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে (জিএমআর) এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
ইউনেসকোর মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা বলেন, সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্য অর্জনের পথে অসাধারণ অগ্রগতি দেখিয়েছে বিশ্ব। চলতি বছরের মধ্যে নির্ধারিত লক্ষ্যগুলো অর্জিত না হলেও ১৯৯০-এর ধারা চলতে থাকলে যত শিশু বিদ্যালয়ে যেত, সেই তুলনায় লাখ লাখ বেশি শিশু এখন বিদ্যালয়ে যাচ্ছে। তবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ব্যাপারটা এখনো অনেক দূরে রয়েছে। তাঁরা দরিদ্রতম জনগোষ্ঠীর, বিশেষ করে মেয়েদের শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং শিক্ষায় বৈষম্য কমানোর লক্ষ্যকে প্রাধান্য দিয়ে সুনির্দিষ্ট ও পর্যাপ্ত তহবিলসমৃদ্ধ উদ্যোগ দেখতে চান।
২০০০ সাল থেকে এ পর্যন্ত অনেক দেশের সরকার শিক্ষা খাতে ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বাড়িয়েছে। তবে বাংলাদেশ শিক্ষা খাতে ব্যয় কমিয়েছে। মোট জাতীয় উৎপাদন থেকে এই খাতে ব্যয় আগে ছিল ২ দশমিক ৩ শতাংশ, এখন তা হয়েছে ২ দশমিক ১ শতাংশ।