সব আল্ট্রাসনোগ্রাম ও এক্স-রে যন্ত্র নষ্ট

ফেনী সদর হাসপাতালের সব এক্স-রে ও আল্ট্রাসনোগ্রাম যন্ত্র নষ্ট। এ কারণে রোগীরা বেসরকারি রোগনির্ণয় কেন্দ্রে এক্স-রে ও আল্ট্রাসনোগ্রাম করাতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে তাঁরা আর্থিকভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, এক্স-রে ও আল্ট্রাসনোগ্রাম যন্ত্র নষ্ট হওয়ায় গুরুতর অসুস্থ রোগীদের বেসরকারি রোগনির্ণয় কেন্দ্রে আনা-নেওয়া করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন তাঁদের স্বজনেরা। এ ছাড়া বেসরকারি রোগনির্ণয় কেন্দ্রে খরচও অনেক বেশি হয়। এ কারণে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দরিদ্র রোগীরা।
সূত্র জানায়, হাসপাতালটি ১০০ থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত হওয়ার পর নতুন কোনো এক্স-রে যন্ত্র সরবরাহ করা হয়নি। আগে সরবরাহ করা এক্স-রে যন্ত্রগুলোও ধীরে ধীরে অকেজো হয়ে পড়তে থাকে। ২০১৪ সালের শেষের দিকে সব যন্ত্র নষ্ট হয়ে যায়। সে সময় তিন মাস হাসপাতালের সব এক্স-রে যন্ত্র নষ্ট ছিল। গত ফেব্রুয়ারিতে একটি এক্স-রে যন্ত্র মেরামত করা হয়। চার মাস চলার পর গত ৩০ মে সেটি আবারও নষ্ট হয়ে যায়। এতে এক্স-রে যন্ত্র ছাড়াই চলছে ২৫০ শয্যার হাসপাতালটি।
এদিকে দুই মাস ধরে হাসপাতালের চারটি আল্ট্রাসনোগ্রাম যন্ত্রই নষ্ট হয়ে পড়ে আছে।
হাসপাতালের একজন রোগী বলেন, হাসপাতালে বুকের একটি এক্স-রে করাতে লাগে মাত্র ৮০ টাকা। কিন্তু বেসরকারি রোগনির্ণয় কেন্দ্রে লাগে ৩৫০ টাকা। তা ছাড়া শহরে আসা-যাওয়া করতে আরও টাকা খরচ হয়। আসা-যাওয়ার কষ্ট তো আছেই। হাসপাতালে একটি আল্ট্রাসনোগ্রাম করাতে ১৫০ থেকে ২২০ টাকা খরচ হয়। কিন্তু বেসরকারি রোগনির্ণয় কেন্দ্রে খরচ হয় ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা।
ফেনী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) অসীম কুমার সাহা হাসপাতালের সব এক্স-রে ও আল্ট্রাসনোগ্রাম যন্ত্র নষ্ট হয়ে পড়ে থাকার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের পরামর্শক চিকিৎসক (কনসালট্যান্ট) কাজী মোহাম্মদ আলম বলেন, ৫০০ এমএ ক্ষমতাসম্পন্ন এক্স-রে যন্ত্রটি মেরামত করতে ২৪ লাখ টাকা এবং একটি আল্ট্রাসনোগ্রাম যন্ত্র মেরামত করতে দুই লাখ টাকা দরকার।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. ছারোয়ার জাহান জানান, পুরোনো এক্স-রে ও আল্ট্রাসনোগ্রাম যন্ত্র মেরামত এবং নতুন যন্ত্র সরবরাহের জন্য গত কয়েক দিনে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিক চিঠি দিয়েছেন। বিষয়টি তিনি টেলিফোনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালককেও জানিয়েছেন।