সমরাস্ত্র প্রদর্শনী শুরু

পাশাপাশি দুটি বিশাল সামরিক ট্যাংক। খানিক দূরেই শত্রুপক্ষের বিমান ও ট্যাংকবিধ্বংসী স্বয়ংক্রিয় কামান। যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত এসব সরঞ্জামের পাশে দাঁড়িয়ে কেউ ছবি তুলছেন। উৎসুক কেউ কেউ এগুলোর ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পাশে দাঁড়ানো সৈনিকদের প্রশ্ন করছেন। সৈনিকেরাও কৌতূহল মেটাচ্ছেন হাসিমুখে।

সশস্ত্র বাহিনীর ব্যবহৃত সমরাস্ত্র কাছ থেকে দেখতে এবং সেগুলো সম্পর্কে ধারণা পেতে ঘুরে আসতে পারেন সমরাস্ত্র প্রদর্শনীতে। স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০১৭ উদ্‌যাপনের অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার থেকে পুরাতন বিমানবন্দরের জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সমরাস্ত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।

প্রদর্শনী বিষয়ে সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে আজ সকালে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। তাতে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রতিনিধিরা প্রদর্শনীতে নিজেদের বাহিনীর স্টল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

সাত দিনের সমরাস্ত্র প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর বিভিন্ন ধরনের সমরাস্ত্র জনসাধারণের প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে। ২৩, ২৬, ২৭ ও ২৯ মার্চ প্রতিদিন সকাল সাড়ে নয়টা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত এবং ২৪ মার্চ সকাল সাড়ে নয়টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ২৯ মার্চ দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত সাধারণের সঙ্গে সঙ্গে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রদর্শনী উন্মুক্ত থাকবে।

সমরাস্ত্র প্রদর্শনীতে মোট ৪৮টি স্টল রয়েছে। সেনাবাহিনীর ৩২টি, নৌবাহিনীর ছয়টি, বিমানবাহিনীর ছয়টি, স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং শান্তিরক্ষা মিশনে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকাসহ সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের ওপর সম্মিলিত চারটি স্টল রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশিদুল হাসান বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস, দেশ ও জাতি গঠনে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সশস্ত্র বাহিনীর কার্যক্রম, বাহিনীর আধুনিকায়ন, বাহিনীর ব্যবহৃত সমরাস্ত্র সম্পর্কে জনসাধারণকে ধারণা দেওয়া এবং এই পেশার প্রতি তরুণদের আকৃষ্ট করার উদ্দেশে এ প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়েছে।

প্রদর্শনীতে বিভিন্ন সমরাস্ত্র ছাড়াও ফ্লাই পাস্ট, প্যারা ড্রপিং, র‍্যাপেলিং, আন আর্মড কমব্যাট, এয়ার ডিসপ্লে দেখানো হবে। স্যুভেনির স্টল থেকে চাইলে টি-শার্ট, মগ, টুপি, ওয়ালেট কেনা যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার মোহাম্মদ শাহীন মজিদ এবং সেনাবাহিনীর মেজর সৈয়দ মাসুদুর রহমান, নৌবাহিনীর কমান্ডার এম হুমায়ুন কবীর এবং বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ স্টলগুলোর বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।