সাংবাদিকতা বিত্তশালীদের কাছে বন্দী: শিক্ষা উপমন্ত্রী

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী
ফাইল ছবি

সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার নীতি–নৈতিকতা বিত্তশালীদের কাছে বন্দী হয়ে পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেন, বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকেরা সংবাদপত্রের মালিক হয়ে নীতি-নৈতিকতা নিয়ন্ত্রণ করছেন।

হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক, যাঁর গাড়ি-বাড়ি আছে, তাঁরাই হয়ে যাবেন সংবাদপত্রের মালিক, তাঁরাই সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করবেন—এই প্রভাব থেকে সংবাদমাধ্যমকে মুক্ত করতে হবে। প্রতিবেশী দেশেও ৪৯ শতাংশের বেশি মালিকানা উদ্যোক্তাদের দেওয়া হয় না।

আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সংবর্ধনা উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে সিইউজে সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে প্রেসক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সিইউজের সিনিয়র সহসভাপতি রতন কান্তি দেবাশীষ, সহসভাপতি অনিন্দ্য টিটো বক্তব্য দেন।

মহিবুল হাসান বলেন, অনিয়ন্ত্রিত ও অনিবন্ধিতভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছে। যেখানে-সেখানে সাইনবোর্ড লাগিয়ে সংবাদমাধ্যম বলা হচ্ছে, আদৌ সেখানে সাংবাদিকতার যে মান, সেটা রক্ষা হচ্ছে কি না, রাষ্ট্রকে অবশ্যই এসব বিষয় কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

রাষ্ট্র, সমাজ, সরকার, অর্থনীতি, রাজনীতি, দেশকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য সাংবাদিকদের কলম খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে উপমন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু আমরা গঠনমূলক সমালোচনা অনেক সময় পাই না, সেনসেশনাল নিউজ হয়। তবে ধীরে সংবাদমাধ্যমে চেহারা পাল্টাচ্ছে।’

রাজনীতি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘রাজনীতিতে অর্থবিত্তের প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে রাজনীতি উন্নত হবে। এ ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের গুরুদায়িত্ব আছে। তাঁরা চাইলে রাজনীতিতে স্বচ্ছতা আনার জন্য লিখতে পারেন। রাজনৈতিক পদ-পদবি উপভোগ করার নয়, কঠিন দায়িত্ব বলে আমি মনে করি।’