সাগরপাড়া বটতলার সেই নামটি এবার সমূলে ঘুচল
রাজশাহী বাস টার্মিনাল অথবা রেলস্টেশনে নেমে রিকশায় উঠে সাগরপাড়া বটতলা বললে রিকশাচালককে আর কিছু বলতে হতো না। সাগরপাড়া বটতলার সেই নামটি এবার সমূলে ঘুচে গেল।
সাগরপাড়া বটতলার ফুটপাতের হোটেল ব্যবসায়ী আবুল কাশেম বলেন, একটি বটগাছের নামের কারণে সাগরপাড়ার এই মোড়ের নাম বটতলা পড়েছিল। গাছটি দুই বছর আগে ঝড়ে উপড়ে যায়। তারপরও রাস্তার অপর পাশে একটা ছোট পাকুড়গাছের সঙ্গে একটা বটগাছ ছিল। সেটিও গতকাল বৃহস্পতিবার রাজশাহী সিটি করপোরেশন রাস্তা সম্প্রসারণের প্রয়োজনে কেটে ফেলে। এখন মুখে মুখে সাগরপাড়া বটতলার নাম থাকলেও আসলে মোড়ে এসে কেউ কোনো বটগাছ দেখতে পাবে না।
আবুল কাশেম আরও বলেন, বড়গাছটা ঝড়ে পড়ে যাওয়ার পরে তার পাশে কে যেন একটা বটগাছের ডাল পুঁতে দিয়েছে। সেই গাছ ছায়া দিতে কম করে হলেও ১০ বছর লাগবে।
সাগরপাড়া এলাকার বাসিন্দা সাদেকুল আনোয়ার (৫৫) বলেন, যে গাছটি রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য কাটা হলো এটি এখন থেকে প্রায় ১৫ বছর আগে এলাকার বাসিন্দা আবদুল মতিন লাগিয়েছিলেন। তিনিও আট-দশ বছর আগে মারা গেছেন। তিনি বলেন, যে গাছটি ঝড়ে পড়ে গিয়েছিল সেই গাছটির বয়স ছিল বেশি। গাছটি ছায়া দিত।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক বলেন, নগরের সাগরপাড়া বটতলা থেকে রানিবাজার পর্যন্ত রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এই রাস্তাটি আগে ছিল ১৫ ফুট চওড়া। এখন চার কোটি টাকা ব্যয়ে সেটি ৪২ ফুট প্রশস্ত করা হচ্ছে। রাস্তার জন্য বটগাছটি কাটতে হয়েছে। তিনি বলেন, এই গাছটি তেমন বয়সী ছিল না। এর কাষ্ঠ মূল্যও হয়নি। এ জন্য গাছটি কাটার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। তবে এই মোড়ের নাম বটগাছের নামানুসারে হয়েছে। সেই জন্য তাঁরা পরিকল্পনা করেছেন, রাস্তার দুই ধারে দুটি বটগাছ রোপণ করবেন। আগামী জুনের মধ্যেই রাস্তার কাজ শেষ হয়ে যাবে এবং বর্ষাতেই দুটি বটগাছের চারা রোপণ করা হবে।