সাপ্তাহিক 'একতা' সাধারণ মানুষেরই কণ্ঠস্বর

সাপ্তাহিক একতা গণমানুষের পত্রিকা। পত্রিকাটিকে একটি দলের মুখপত্র বলা হলেও এটি সাধারণ মানুষেরই কণ্ঠস্বর। সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, পুঁজিবাদ আর সামন্তবাদের বিরুদ্ধে পত্রিকাটি সব সময়ই ভূমিকা রেখে যাবে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মুখপত্র একতা-এর ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। গতকাল পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনের প্রগতি মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যম ও গণমুক্তি’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন একতার সম্পাদক এ এন রাশেদা।
সভার মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন চ্যানেল ২৪-এর রাহুল রাহা ও দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার জ্যেষ্ঠ রিপোর্টার নিখিল ভদ্র। তাঁরা বলেন, ক্ষমতাসীনরা গণতন্ত্রকে অবহেলা করছেন। ক্ষমতা পোক্ত করতে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ক্ষমতাসীনেরা কুক্ষিগত করছেন। এতে সুশাসন ও ন্যায়বিচার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে গণমানুষের অধিকার রক্ষা করাই গণমাধ্যমের বড় চ্যালেঞ্জ।
অনুষ্ঠানে লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের গণমাধ্যম বিশেষ করে সম্প্রচার মাধ্যম এগোচ্ছে। তবে পুঁজিপতিরা গণমাধ্যমে বিনিয়োগ করছেন, তাই একে তাঁরা ব্যবহার করবেন এটাই স্বাভাবিক। পুঁজিপতিরা তাঁদের সাবান, লবণের মধ্যে গণমাধ্যমকেও একটি পণ্য হিসেবেই দেখেন। এ থেকে লাভ পেতে চান।
সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, একতা-এর ভেতরে রত্নভান্ডার লুকিয়ে আছে। একে তুলে আনতে হবে। সাধারণ মানুষের জন্য আরও বেশি কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহ আলমগীর বলেন, একতাকে মানুষের কাগজ হতে হবে। দলীয় মুখপত্র হওয়া যাবে না। তিনি বলেন, সৎ সাংবাদিকতা করতে পারবে এমন পত্রিকার দরকার আছে। তিনি দাবি করেন, সচিবালয়ে কাজ করেন এমন সাংবাদিকেরা হয় নিজ প্রতিষ্ঠানের জন্য বা অন্য কারণে দপ্তরে দপ্তরে গিয়ে ফাইল স্বাক্ষর করান।
আশীষ কুমার দের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সিপিবির নেতা লক্ষ্মী চক্রবর্তী, আবদুল্লাহ আল ক্বাফী, বাসদের নেতা রাজেকুজ্জামান রতন প্রমুখ বক্তব্য দেন।