সামুদ্রিক সম্পদ বিষয়ে ঢাকার প্রস্তাব গ্রহণ এসকাপের

এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে মহাসাগরের টেকসই ব্যবহার, সমুদ্র ও সামুদ্রিক সম্পদ বিষয়ে বাংলাদেশের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (এসকাপ)। 

আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯ মে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত এসকাপ-এর ৭২তম অধিবেশনের শেষে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সরকারপ্রধান ও উচ্চপর্যায়ের অন্য কর্মকর্তারা সর্বসম্মতিক্রমে এই প্রস্তাব অনুমোদন করেন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ‘রিজওনাল কো–অপারেশন ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক টু প্রমোট দ্য কনজারভেশন অ্যান্ড সাসটেইনেবল ইউজ অব দ্য ওশানস, সিস অ্যান্ড মেরিন রিসোর্স ফর সাটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক প্রস্তাবটি কয়েক দফা আলোচনার পর ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত হয়।
বাংলাদেশের প্রস্তাবকে সমর্থন করে বক্তব্য দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও শ্রীলঙ্কা। তারা বাংলাদেশের প্রস্তাবের কো–স্পনসর। থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং এসকাপের স্থায়ী প্রতিনিধি সাদিয়া মুনা তাসনিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্লু-ইকোনমির ধারণার সঙ্গে সংগতি রেখে আমরা জাতীয় আকাঙ্ক্ষার বঙ্গোপসাগরের সামুদ্রিক সম্পদ পরিবেশবান্ধব উপায়ে ব্যবহার করতে প্রথমবারের মতো এসকাপের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা ১৪-এর টেবিলে প্রস্তাবটি উপস্থাপন করি। রাষ্ট্রদূত বলেন, ২০১৪ সালের ১ থেকে ২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত ব্লু-ইকোনমি–সংক্রান্ত এক আন্তর্জাতিক কর্মশালায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ব্লু-ইকোনমির যে ধারণা প্রচার করা হয়, তার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রস্তাবটি মেনে নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তাজিকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এসকাপের ৭২তম অধিবেশনে ৫৩টি সদস্যরাষ্ট্রের সমর্থনে বাংলাদেশের প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিতে গৃহীত হওয়ার ঘোষণা আসে। আঞ্চলিক সহযোগিতা ও সংহতিবিষয়ক ৭২তম অধিবেশনে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের টেকসই অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়ন অর্জনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ৫৩টি দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশগ্রহণ নেন।