সাশ্রয়ী দামে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার পরামর্শ
উচ্চগতির মোবাইল ইন্টারনেট সেবা দিতে দ্রুত লং টার্ম ইভ্যালুশন (এলটিই) বা ফোরজি প্রযুক্তি চালু করা জরুরি। এ বিষয়ে সরকার ও বেসরকারি খাতের সমন্বয় প্রয়োজন। আর সমন্বয়ের জন্য ব্রডব্যান্ড মাস্টারপ্ল্যান করা দরকার।
আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ এলটিই সামিট-২০১৬’ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজক বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (অ্যামটব)। এতে অংশ নেন মোবাইল কোম্পানি, হ্যান্ডসেট ও প্রযুক্তি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এবং টেলিযোগাযোগ খাতের বিশেষজ্ঞরা।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে ঢাকায় নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত ইয়োহান ফ্রিসেল বলেন, বাংলাদেশে এখন উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ সময়ের চাহিদা। মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বিবেচনায় এলটিই যৌক্তিক সমাধান বলে মন্তব্য করেন তিনি। নতুন এ প্রযুক্তিকে গ্রাহকদের কাছে সাশ্রয়ী করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে ফ্রিসেল বলেন, না হলে এটি টেকসই হবে না। তাঁর মতে, সরকারের লাভের চেয়ে জনগণের লাভের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
প্যানেল আলোচনায় গ্রামীণফোনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পিটার ফারবার্গ বলেন, গ্রাহকদের জন্য ইন্টারনেটের গতি কাভারেজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে অপারেটররা সচেতন। তবে দাম কীভাবে কমানো যায়, সেটা নিয়ে সরকারের সঙ্গে আরও কাজ করার রয়েছে।
রবির এমডি ও সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ মোবাইলসেবায় কর কাঠামো নিয়ে কথা বলেন। তাঁর তথ্যমতে, সেবায় ৫০ শতাংশের বেশি করের খাতে চলে যায়। এখানে গ্রাহকেরা সর্বনিম্ন দামে সেবা পান। কিন্তু অপারেটররা লাভের মুখ দেখছে কি না, সে প্রশ্ন তোলেন তিনি। মাহতাব উদ্দিন বলেন, ‘এখানে কোম্পানিগুলোকে একীভূত হতে হচ্ছে। আমরা আমাদের বিনিয়োগকারীদের বলতে পারছি না আরও বিনিয়োগ করতে। এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের একই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।’
বাংলালিংকের ভারপ্রাপ্ত সিইও এবং চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড সেবার জন্য শুধু মোবাইল অপারেটরদের ওপর নির্ভর করলে চলবে না। বহুমুখী প্রযুক্তি থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক্স টু ইনফরমেশন প্রকল্পের ই-সেবা বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ আশরাফুল আমিনও ইন্টারনেট সেবার দাম কম রাখার ওপর গুরুত্ব দেন। উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবার জন্য ব্রডব্যান্ড মাস্টারপ্ল্যান করার পরামর্শ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্বে বক্তব্য দেন বিটিআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আহসান হাবিব খান, মহাপরিচালক এমদাদুল বারি, অ্যামটবের মহাসচিব টি আই এম নুরুল কবির, এরিকসনের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের হেড অব নেটওয়ার্ক সার্ভিসেস ইগর মারসেল, টেলিটকের হেড অব স্ট্র্যাটেজি তারগিবুল ইসলাম প্রমুখ।