সিলেটও প্রায় বিচ্ছিন্ন, মানুষ অসহায়

খাদ্য, সুপেয় পানি এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা দ্রুত না করা গেলে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।

ভারী বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে সিলেট নগরের সড়কগুলো। রেলস্টেশনে ঢুকে পড়েছে পানি। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় কোমরসমান পানিতে মালামাল নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন যাত্রীরা। গতকাল দুপুরে
ছবি: আনিস মাহমুদ

ঘরে-বাইরে হাঁটু থেকে কোমরসমান পানিতে দিশেহারা সুনামগঞ্জ ও সিলেটের মানুষ। বন্যার ভয়াবহতা বাড়তে থাকায় সুনামগঞ্জের পর সিলেটও এখন সারা দেশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। দুই জেলার বেশির ভাগ হাসপাতালে পানি ঢুকে যাওয়ায় জরুরি চিকিৎসাসেবা দিতেও সমস্যা হচ্ছে। পানিবন্দী এলাকায় দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির তীব্র সংকট। তিন বেলা খাবার জোগাড় করাই এখন বন্যাকবলিত মানুষের জন্য বড় চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছেন লাখো মানুষ।

বিপদ আরও বাড়াচ্ছে টানা বৃষ্টি। গতকাল শনিবারও অবিরাম বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢল অব্যাহত ছিল। প্রায় সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।

বিমানবন্দরের পর গতকাল রেলস্টেশনে পানি ওঠায় সিলেটের সঙ্গে সরাসরি ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। উপকেন্দ্র তলিয়ে গতকাল দুপুরে সিলেটের পুরো জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিস, খাদ্যগুদাম থেকে শুরু করে টিঅ্যান্ডটি অফিস-জরুরি সেবা দেওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান তলিয়ে আছে পানির নিচে। সিলেটের কিছু এলাকায় মুঠোফোন নেটওয়ার্কও অকার্যকর, বন্ধ ইন্টারনেট সেবাও। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে একটি দল গতকাল পানির কারণে সিলেট শহরে ঢুকতে না পেরে ঢাকায় ফিরে এসেছে।

প্রযুক্তি ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে দেশে এত উন্নয়ন হওয়ার পরও বন্যার কারণে দুটি জেলা সারা দেশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে—এটি মেনে নেওয়া কঠিন বলে মনে করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম চৌধুরী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, দুই জেলায় বহু মানুষ অভুক্ত ও আশ্রয়হীন অবস্থায় আছে, অথচ তাঁদের জন্য প্রশাসন কিছুই করতে পারছে না। তিনি বলেন, গত ১৪ মে সিলেট-সুনামগঞ্জে প্রথম দফায় বন্যা হয়। এরপর দ্বিতীয় দফা বন্যার আশঙ্কা নানাভাবে প্রকাশ করা হলেও সরকারি কোনো উদ্যোগের কথা জানা যায় না। মানুষকে সতর্ক করা উচিত ছিল। দায়িত্বশীল মহল থেকে মানুষকে সতর্ক করা হলে এখন সিলেট ও সুনামগঞ্জের মানুষকে এমন দুরবস্থার মুখোমুখি হতে হতো না।

এদিকে গতকালও সুনামগঞ্জ শহরে মুঠোফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকায় জেলা প্রশাসকসহ স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে জেলার দিরাই উপজেলার কিছু জায়গায় মুঠোফোনে মাঝেমধ্যে কথা বলা যাচ্ছে। এই উপজেলার তিন ব্যক্তির সঙ্গে গতকাল দুপুরে ফোনে কথা বলতে পেরেছে প্রথম আলো। তাঁদের একজন উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের কৃষক দেবেশ চন্দ্র সরকার। তিনি বলেন, গ্রামের প্রতিটি বাড়িতেই পানি ঢুকেছে। বিদ্যুৎ-সংযোগ বন্ধ। খাদ্য ও পানির সংকটে পড়েছে প্রায় সবাই।

সিলেট জেলা প্রশাসনের একটি সূত্রের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ পরিস্থিতি সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য জানতে পেরেছে প্রথম আলো। এই সূত্রের বক্তব্য অনুযায়ী, জেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি ৮ থেকে ১০ হাজার মানুষ জেলা সদরের আটতলাবিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছে। এর বাইরে আরও অন্তত দুই হাজার মানুষ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কিছু উঁচু ভবনে ঠাঁই নিয়েছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সুনামগঞ্জের উপপরিচালক মোহাম্মদ জাকির হোসেন প্রশিক্ষণের জন্য কয়েক দিন আগে ঢাকায় যান। তিনিও বিভিন্ন মাধ্যমে জেলার পরিস্থিতি সম্পর্কে কিছু তথ্য জানতে পেরেছেন। গতকাল রাতে তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছে প্রথম আলো। তিনি বলেন, যতটুকু জানা গেছে তাতে জেলা শহরের প্রতিটি ঘরেই পানি। কোথাও হাঁটুসমান, কোথাও কোমরসমান। অধিকাংশ সড়ক ডুবে গেছে। প্রশাসন আন্তরিকভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করে চলেছে।

সিলেটের স্থানীয় প্রশাসন বলছে, সরকার বানভাসি মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ বরাদ্দ দিলেও যোগাযোগ-বিড়ম্বনার কারণে এসব সহায়তা সব জায়গায় পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। বন্যার পানির কারণে অনেক এলাকা দুর্গম হয়ে পড়েছে। ফলে অসহায় ও বিপর্যস্ত মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছাতে প্রশাসনকে বেগ পেতে হচ্ছে। এমনকি সরকারি ব্যবস্থাপনায় চালু হওয়া আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতেও খাদ্যসামগ্রী পৌঁছানো যাচ্ছে না। মূলত নৌকা ও জলযানের সংকটের কারণেই এমনটা হচ্ছে বলে সিলেট জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

স্বজনদের উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা

মুঠোফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সুনামগঞ্জ শহরসহ জেলার কয়েকটি উপজেলা এবং সিলেটের কিছু এলাকার মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না দেশের অন্য প্রান্তে থাকা মানুষেরা। আত্মীয়স্বজনেরা কে কীভাবে আছেন, সে খোঁজ নিতে না পারায় তাঁরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় সময় কাটাচ্ছেন।

সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার থেকে পুরো জেলা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। উপজেলা সদরের সড়কগুলো ডুবে যাওয়ায় প্রতিটি উপজেলাও এখন কার্যত বিচ্ছিন্ন। গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভেসে যাচ্ছে গবাদিপশু ও পাখি। নৌকার সংকটে মানুষজন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজেও খুব একটা যেতে পারছেন না।

সুনামগঞ্জের পরিস্থিতি সম্পর্কে সিলেট জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র বলছে, মুঠোফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে পড়ায় বিশেষত সুনামগঞ্জে প্রশাসনের কর্মকর্তারা নিজেদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। কে কীভাবে আছেন, সেটাও তাঁরা জানতে পারছেন না। নিজেদের রক্ষার পাশাপাশি অন্যদের জানমালের তদারকি করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।

আশ্রয়কেন্দ্রে মানবেতর জীবন

সিলেটের গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জের প্রায় সব বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে চেনা-অচেনা মানুষ গাদাগাদি করে কোনোরকমে দিন পার করছে। যেখানে ১০০ মানুষ থাকার কথা, সেখানে কয়েক শ মানুষ ঠাঁই নিয়েছে। অনেকে শুকনো খাবার খেয়ে বেঁচে আছে। স্থানীয় হাটবাজার তলিয়ে যাওয়ায় শুকনো খাবার কিনে এনে খাওয়ার সুযোগও নেই। অন্যদিকে মোমবাতির সংকটে সন্ধ্যার পর অনেক আশ্রয়কেন্দ্র পুরোপুরি অন্ধকার হয়ে পড়ছে।

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আনোয়ার সাদাত প্রথম আলোকে বলেন, জেলায় পর্যাপ্ত ত্রাণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে বন্যাকবলিত এলাকাগুলো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় নৌকার সংকটে ত্রাণ পাঠানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি আরও জানান, সিলেট জেলায় মোট ৩৫৮টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৬ হাজার ৫২২ জন আশ্রয় নিয়েছে। এ ছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে এখন পর্যন্ত ২১ হাজার ১০২টি গবাদিপশু ঠাঁই পেয়েছে।

ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্ গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ব্র্যাকের কর্মীরা হবিগঞ্জ থেকে চারটি নৌকায় করে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে সুনামগঞ্জ রওনা দিয়েছেন। ব্র্যাক প্রাথমিকভাবে বন্যাকবলিত মানুষের জন্য তিন কোটি টাকা সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সহায়তার পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে।

সিলেট জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় জানিয়েছে, জেলায় ১৪ লাখ ৩২ হাজার ৩৫২ জন মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় আছে। বন্যার জন্য জেলায় ৬১২ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৪২ লাখ টাকা ও ৮ হাজার ১১৮ বস্তা শুকনা খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান গতকাল দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, সিলেটের বন্যাকবলিত এলাকায় আটকে পড়াদের উদ্ধারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ফায়ার সার্ভিস কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ কোস্টগার্ডও কাজ শুরু করবে। বিমানবাহিনী দুটি হেলিকপ্টার প্রস্তুত রেখেছে, প্রয়োজনে তারাও উদ্ধারকাজে নামবে।

হাসপাতালে অচলাবস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পানি ঢুকে পড়ায় স্বাভাবিক সেবাদানে সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া অনেক হাসপাতাল বিদ্যুৎহীন থাকায় রোগীদের দুর্ভোগ বেড়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক আহমেদুল কবীর গতকাল রাত আটটায় প্রথম আলোকে বলেন, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিচতলায় বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় রোগীদের ওপর তলায় নেওয়া হয়েছে। আইসিইউ সেবা ও জরুরি অস্ত্রোপচার চালু রাখার জন্য জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘খাওয়ার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি ও জরুরি ওষুধ কীভাবে পৌঁছানো যায়, সে ব্যাপারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমরা সমন্বয় করে কাজ করার চেষ্টা করছি।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে একটি দল সিলেট শহরে ঢুকতে না পেরে গত রাতে আবার ঢাকায় ফিরে আসে। ওই দলে ছিলেন রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম। গত রাতে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা দু-তিনটি বিকল্প পথ দিয়ে সিলেট শহরে ঢোকার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু রাস্তায় পানি বেশি থাকায় গাড়ি শহরে ঢুকতে পারেনি।’

সিলেট স্বাস্থ্য বিভাগীয় কার্যালয়ে একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে ০১৭১৬২৬০২১১ এবং ০১৭১৫৫০০৮৩৯ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে। এ ছাড়া ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম বন্যা পরিস্থিতির জন্য খবরাখবর রাখছে। নিয়ন্ত্রণকক্ষে যোগাযোগের জন্য ০১৭৫৯১১৪৪৮৮ নম্বরে ফোন করা যাবে। এসব নম্বরে ২৪ ঘণ্টা যোগাযোগ করা যাবে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।

ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এ অবস্থায় ৩০ জুন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. বদরুল ইসলাম এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

মানুষ অসহায়, বাক্‌রুদ্ধ

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক জফির সেতুর বাড়ি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায়। বন্যাকবলিত নিজ এলাকার মানুষকে সহযোগিতা করতে গত শুক্রবার তিনি কোম্পানীগঞ্জে যান। নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘বন্যাকবলিত সালুটিকর, খাগাইল, ছগাম, হুড়ারপাড়, ছামারাকান্দি, ফেদারগাঁও, বেতমুড়া, দীঘলবাঁক এলাকা ঘুরেছি। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে তিল ধারণের ঠাঁই নাই। এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা।’

অধ্যাপক জফির সেতু বলেন, উপজেলার দীঘলবাঁকের পার-ফেদারগাঁও উচ্চবিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পর মনে হলো, মানুষের শ্বাস ফেলার জায়গাও যেন নেই। মানুষে-গবাদিপশুতে একাকার। পানি নেই, খাবার নেই। শুক্রবার বিকেল চারটা পর্যন্ত এই আশ্রয়কেন্দ্রে কেউ ত্রাণ নিয়ে যায়নি। চারতলা ভবনের এই আশ্রয়কেন্দ্রে তখন অন্তত এক হাজার মানুষ ছিল।