সুযোগ পেলে খালেদা বাংলাদেশের নামই বদলে দিতেন: বনমন্ত্রী

হাছান মাহমুদ
হাছান মাহমুদ

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সুযোগ পেলে বাংলাদেশের নামই বদলে দিতেন বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। আজ সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবিরোধী এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
গোপালগঞ্জ জেলাকে উদ্দেশে করে খালেদার বক্তব্যকে কটাক্ষপূর্ণ, অশালীন ও অশোভন উল্লেখ করে বনমন্ত্রী বলেন, দেশের দু-দুবারের প্রধানমন্ত্রীর মুখে এ কথা মানায় না। গতকাল নিজ বাসায় খালেদা জিয়া বলেছিলেন, গোপালগঞ্জের নামই বদলে যাবে, গোপালগঞ্জ আর থাকবে না।
বিডিআর বিদ্রোহের জন্য খালেদা জিয়াকে দায়ী করে হাছান মাহমুদ বলেন, যিনি দুপুর ১২টার আগে ঘুম থেকেই ওঠেন না, সেই তিনি বিডিআর বিদ্রোহের দিন সকাল আটটায় তার ক্যান্টনমেন্টের বাসা ছেড়ে নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছিলেন। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা খেয়ে খালেদা জিয়া এ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বলেন, গোপালগঞ্জের প্রতি খালেদা জিয়ার এত ক্ষোভের কারণ কারও অজানা নয়। যাঁর প্রতি খালেদা জিয়ার ক্ষোভ, তিনি জানেন না যে ওই মহান ব্যক্তি শুধু গোপালগঞ্জের নয়, পুরো জাতির। আর গোপালগঞ্জে জাতির জনকের জন্ম না হলে আজ এ জাতি পরাধীনই থেকে যেত। খালেদা জিয়া এবং তাঁর জামায়াতে ইসলামীর দোসররা পাকিস্তানিদের গোলামিতে মুগ্ধ আর খুশি থাকতে পারতেন। এই স্বাধীনতা ওনাদের ভালো লাগে না, তাই পাকিস্তানিদের হাতে আবার এ দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিতে চায়।
হাছান মাহমুদ বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে কাদের মোল্লার ফাঁসিতে পাকিস্তানের জামায়াত যে ভাষায় কথা বলে ঠিক একই ভাষায় যখন বাংলাদেশের বিএনপি-জামায়াত কথা বলে তখন কারও বুঝতে বাকি থাকে না যে ওনার অন্তর জ্বালাটা কোথায়। তাই তো তিনি গোপালগঞ্জের নাম বদলানোর কথা মুখে বললেও অন্তরে নিশ্চয়ই বাংলাদেশের নাম পরিবর্তনের কথাই ভাবছিলেন। শুধু পুরোটা মুখে বলতে পারেননি।