সেই ঢাকা গেট, এই ঢাকা গেট

সেকাল
সেকাল

একটি গেটের সামনে একদল হাতি, পেছনে সবুজ গাছপালা, মন্দিরের একটি চূড়া—এমন একটি ছবি পাওয়া গেল ইন্টারনেটে। তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানের (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) প্রবেশপথের এই গেটটি মীর জুমলার গেট, যা বর্তমানে ‘ঢাকা গেট’ নামে পরিচিত। কেউ যদি এই ২০১৬ সালে এসে সেই ঢাকা গেট খুঁজে পেতে চান, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার কার্জন হল ছাড়িয়ে দোয়েল চত্বর পেরিয়ে বাংলা একাডেমির দিকে গেলেই সেটি পাবেন। কিন্তু সেই ছবির সঙ্গে আজকের ছবি মেলাতে গেলে ধাক্কা খেতে হবে। হাতির দল থাকার তো প্রশ্নই আসে না। ঐতিহাসিক এই মোগল স্থাপনাটি প্রায় ধ্বংস হওয়ার পথে। তবে এখনো যতটুকু টিকে আছে তাতে বুঝতে অসুবিধা হয় না এই সেই গেট। মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে বাংলার সুবাদার ছিলেন মীর জুমলা। এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে প্রকাশিত ঢাকা কোষ-এ বলা হয়েছে, মীর জুমলা ১৬৬০ থেকে ১৬৬৩ সালের মধ্যে ঢাকার সীমানা চিহ্নিত করতে এবং স্থলপথে শত্রুদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে এটি নির্মাণ করেছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দোয়েল চত্বর পেরিয়ে টিএসসির দিকে তিন নেতার মাজারের কাছে গেলেই চোখে পড়ে হলুদ রঙের এই গেট। গেটের তিনটি অংশের একটি রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবায়নযোগ্য শক্তি গবেষণা কেন্দ্রের দিকে, মাঝখানের অংশ পড়েছে সড়ক বিভাজকের ওপর, এবং অপর অংশটি রয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে তিন নেতার মাজারের পাশে। স্থাপনাটি দেখলে সচেতন যে কেউ হতাশ হবেন। ঢাকার ঐতিহাসিক এই স্থাপনা কী করে এতটা অবহেলিত থাকে?

একাল
একাল

লেখা: শরিফুল হাসান, ছবি: আশরাফুল আলম, পুরোনো ছবিটি সংগৃহীত|