সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভায় জঙ্গিদের অর্থের উৎস বন্ধেরদাবি

সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের আলোচনা সভায় মৌলবাদী জঙ্গিদের অর্থ ও অস্ত্রের উৎস বন্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, এই সরকারের আমলেই মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার-প্রক্রিয়া শেষ ও রায় কার্যকর করতে হবে। এ ছাড়া জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার দাবিও জানানো হয়েছে।

সংগঠনটি গতকাল শনিবার ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াও’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে। জাতীয় জাদুঘরে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভাপতির বক্তব্যে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান এ কে খন্দকার বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে যাঁদের বিরুদ্ধে রায় হয়েছে ও যাঁরা চরম দণ্ড পেয়েছেন, তাঁরা যেন আপিল করতে না পারেন। এ সুযোগটি যেন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। যে অপরাধ তাঁরা করেছেন, তাতে তাঁরা এই সুযোগ পেতে পারেন না। 

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আইনজীবী এম আমীর-উল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

ফোরামের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান কে এম সফিউল্লাহ বলেন, জামায়াতের অর্থের উৎস বন্ধ করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, দেশে মুক্তিযুদ্ধের বিপরীত কোনো শক্তি থাকতে পারে না। সব পেশাজীবী সংগঠনকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।    

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সিনিয়র সহসভাপতি হায়দার আকবর খান বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষের শক্তি সন্ত্রাস ও মিথ্যাচার করে চলেছে। ওই শক্তিকে পরাজিত করতে রাষ্ট্রশক্তির প্রয়োগ ও জনশক্তি কাজে লাগাতে হবে।

করণীয় তুলে ধরে জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবুল বারাকাত বলেন, মৌলবাদীদের অর্থনীতি-সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বিমা তৃতীয় পক্ষ দিয়ে অডিট (নীরিক্ষা) করা দরকার।  

ইকরার চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ জামায়াত-শিবিরের প্রসঙ্গ তুলে সরকারের উদ্দেশে বলেন, বিষবৃক্ষ উপড়ে ফেলুন। নইলে বারবার যুদ্ধ করতে হবে। 

সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হারুন হাবীব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ নাজমা শাহীন, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সোনিয়া নিশাত আমিন এবং ফোরামের ঢাকা বিভাগীয় কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ পাটওয়ারী প্রমুখ বক্তব্য দেন।