বর্ণাঢ্য আয়োজন আর প্রতিযোগীদের প্রতিদ্বন্দ্বীপূর্ণ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে লোকসংগীত নিয়ে টেলিভিশন রিয়েলিটি শো ‘ম্যাজিক বাউলিয়ানা’। প্রতিযোগিতায় সেরা হয়েছেন টাঙ্গাইলের মেয়ে দিতি সরকার।
দর্শকদের টানটান উত্তেজনার মধ্য দিয়ে গানের সুরে সুরে রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারের গৌরীপুর এলাকার এজিস ট্রেনিং সেন্টারে নির্মিত মঞ্চে গত শুক্রবার রাত সোয়া আটটায় ম্যাজিক বাউলিয়ানার চূড়ান্ত পর্বের সূচনা হয়। দেশীয় সংগীতের ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধিশালী করার উদ্দেশ্যে মাছরাঙা টেলিভিশন এ বছর জানুয়ারি থেকে অনুষ্ঠানটি প্রচার শুরু করে। স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ‘ম্যাজিক’ অনুষ্ঠানটির স্পন্সর করে।
দেশের ১০টি অঞ্চল থেকে ২০ হাজারেরও বেশি প্রতিযোগী ম্যাজিক বাউলিয়ানা প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। সেখান থেকে ৬০ জন প্রতিযোগী নিয়ে শুরু হয় স্টুডিও ক্যাম্প। দ্বিতীয় দফার বাছাইয়ের মাধ্যমে ৪০ জন শিল্পী নিয়ে শুরু হয় ম্যাজিক বাউলিয়ানার মূল প্রতিযোগিতা। পর্যায়ক্রমে এঁদের মধ্য থেকে নানা ধাপ পেরিয়ে পাঁচজন প্রতিযোগী অংশ নেন চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতায়। শুক্রবার চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিরণ চন্দ্র রায়, তপন চৌধুরী ও কনকচাঁপা। এ ছাড়া ছিলেন কণ্ঠশিল্পী ফরিদা পারভীন। খুদেবার্তা আর বিচারকদের ভোটে নির্বাচিত হন সেরা প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম। সেরা প্রথম নির্বাচিত হন দিতি সরকার, দ্বিতীয় মাসুমা সুলতানা, তৃতীয় মরিয়ম আক্তার, চতুর্থ আয়েশা জেবিন ও সেরা পঞ্চম নির্বাচিত হন বিউটি খাতুন।
দিতি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার লাজেশ্বরী গ্রামের সত্যরঞ্জন সরকারের মেয়ে। তিনি ময়মনসিংহের ত্রিশালের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের ছাত্রী। দিতি পান দুই লাখ টাকা, মাসুমা এক লাখ, মরিয়ম ৭০ হাজার, আয়েশা ৫০ হাজার ও বিউটি পান ৩০ হাজার টাকা। আমন্ত্রিত অতিথিরা তাঁদের হাতে ট্রফি ও পুরস্কারের টাকা তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে স্কয়ার টয়লেট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী বলেন, লোকগান আবহমান বাংলা সংস্কৃতির এক অমূল্য উপাদান। ম্যাজিক বাউলিয়ানার মাধ্যমে আমরা লোকগানের এই শক্তিশালী রূপটি নতুন প্রজন্মের সামনে ভিন্ন আঙ্গিকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমাদের বিশ্বাস এই রিয়েলিটি শোর মাধ্যমে লোকসংগীতের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও শক্তি সম্পর্কে কিছুটা হলেও জেনেছেন এবং অনুপ্রাণিত হয়েছেন।
অনুষ্ঠানে মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী সৈয়দ ফাহিম মুনয়েমসহ স্কয়ার টয়লেট্রিজ ও মাছরাঙার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।