সোনালী ব্যাংকে ভুয়া ঋণের ফাঁদে কৃষক
নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় সোনালী ব্যাংক চাচুড়ি বাজার শাখা থেকে এক কৃষকের নামে ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই কৃষক এ খবর জানার পর দুশ্চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ওই কৃষকের নাম আমির হোসেন শেখ (৬০)। তিনি চাচুড়ি ইউনিয়নের হাড়িয়ারঘোপ গ্রামের বাসিন্দা। আমির হোসেন এ বিষয়ে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর আমির হোসেনের নামে ২৫ হাজার টাকা কৃষি ঋণ নেওয়া হয়েছে।
আমির হোসেন বলেন, ‘দুই মাস আগে স্থানীয় কৃষি ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করি। এ ঋণ নিতে স্থানীয় অন্য ব্যাংকের ক্লিয়ারেন্স (অনাপত্তি) নেওয়ার জন্য ওই সোনালী ব্যাংকে যাই। তখন ব্যাংক থেকে বলা হয়, আমার নামে ওই ঋণ রয়েছে। তখন আমি ঋণ নিইনি, কোনো দিন এ ব্যাংকে আসিনি—এ কথা বললে ব্যাংকের কর্মকর্তারা আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন, ভয়ভীতি দেখান। আমি গরিব মানুষ। কোনো দিন ওই সোনালী ব্যাংকেই যাইনি।’
আমির হোসেনের স্ত্রী সাগরিকা বেগম (৫০) গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রথম আলোকে মুঠোফোনে বলেন, ঋণের ওই খবর জানার পর আমির হোসেন দুশ্চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সাগরিকা আরও বলেন, ‘ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ দেওয়ার পর কর্মকর্তারা আমাদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। গত বুধবার ওই ব্যাংক থেকে কর্মকর্তারা এসে এক গাদা টাকা ধরিয়ে দিয়ে বলেন, এ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে দেবেন এবং কাগজে স্বাক্ষর করে দেন। আমরা টাকাও নিইনি, স্বাক্ষরও করিনি।’
এ বিষয়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. মেহবুব মুন্না গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন, ‘গত দিন তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলাম। কিন্তু টাকা দিতে যাইনি। তাঁকে রিলিজ করতে তো তাঁর স্বাক্ষর নিতে হবে? তাই স্বাক্ষরের কথা বলেছি। আমি এ শাখায় নতুন এসেছি। একই নামে অন্য কেউ ঋণ নিয়েছে কি না, বিষয়টি তদন্ত করছি। আশা করি দ্রুতই সমাধান হবে।’