সৌদি যেতে স্বামীর বাধা, ঝগড়া থেকে স্ত্রী খুন

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার পারভীন আখতার (৩৫) নামের সৌদিপ্রবাসী এক গৃহকর্মী পুনরায় তাঁর কর্মস্থলে ফিরে যেতে চাইলে বাধা দেন স্বামী তকদির হোসেন (৪৩)। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়ার জেরে প্রাণ হারান ওই নারী। ঘটনাটি ঘটেছে আজ বুধবার ভোরে। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাধবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম।

পুলিশ ও পারভীনের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বুল্লা ইউনিয়নের মাহমুদপুর গ্রামের পারভীন গৃহকর্মী হিসেবে সৌদি আরবে চাকরি করতেন। গত দেড় মাস আগে তিনি বাড়িতে আসেন। তিনি পুনরায় সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলে তাঁর স্বামী তকদির অসম্মতি জানান। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কিছুদিন ধরে ঝগড়া চলছিল।

আজ ভোর ছয়টার দিকে একই বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে একপর্যায়ে তকদির একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে কোপাতে থাকেন। এ দৃশ্য প্রত্যক্ষ করে নিহতের দুই শিশুসন্তান। এ সময় শিশুদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে তকদির পালিয়ে যান। খবর পেয়ে মাধবপুর থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীর খণ্ডবিখণ্ড লাশ উদ্ধার করে।

এলাকার কয়েক বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়ে পারভীনের সঙ্গে তাঁর খালাতো ভাই পাশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চান্দেরপাড়া গ্রামের তকদিরের পাঁচ-ছয় বছর আগে বিয়ে হয়। তাঁদের সংসারে দুটি শিশুসন্তান রয়েছে। পরিবারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে পারভীন তিন বছর আগে গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে সৌদি আরবে যান। এ সময় দুই শিশুসন্তানসহ তাঁর স্বামী পারভীনের বাবার বাড়িতে বসবাস করতেন। প্রায় দেড় মাস আগে পারভীন সৌদি থেকে বাড়িতে ফেরেন।

মাধবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, পারভীন সৌদিপ্রবাসী ছিলেন। দেড় মাস আগে বাড়িতে ফেরেন। পুনরায় সৌদিতে ফিরে যেতে চাইলে তাঁর স্বামী বাধা দেন। এ নিয়ে বিরোধ থেকে এ হত্যাকাণ্ড। পুলিশ পারভীনের খণ্ডবিখণ্ড লাশ আজ তাঁদের শোবার ঘর থেকে উদ্ধার করে। একই দিন দুপুরে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জের ২৫০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনার পর থেকেই স্বামী তকদির পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।