স্কুল ফটকের সামনে সবজির বাজার
উত্তরার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনেই বসছে কাঁচা সবজির বাজার। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, কাঁচাবাজারের কারণে স্কুলে যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।
গত রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, স্কুলে প্রবেশপথের দুপাশে রাস্তার ওপর শাক-সবজি ও মাছের অর্ধশতাধিক ভ্রাম্যমাণ দোকান। মূল ফটকের ভেতরের অংশে পর্যন্ত রাখা আছে সবজির খাঁচা। ফটকের মধ্যে সাজিয়ে রাখা হয়েছে ফুলকপি, বাঁধাকপি প্রভৃতি সবজি। যেন ফটকটিই দোকানদারের সবজি রাখার জন্য তৈরি করা হয়েছে। বোঝাই যায় না এটি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবেশপথ।
স্কুলের একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাজারটির কারণে স্কুলে যাতায়াতে তাদের অনেক সমস্যা হয়। সকালে স্কুলের সময়ে বাজারে অনেক ভিড় থাকে। ময়লা-আবর্জনায় ভরে থাকে স্কুলের প্রবেশপথ ও সামনের রাস্তা। পচা সবজি ও আবর্জনা রাস্তার ওপরে ফেলে রাখা হয়। অনেকে আবার স্কুল প্রাঙ্গণেও এসব আবর্জনা ফেলে।
বিষয়টি নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক জান্নাত আরার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, বাজারের রাস্তা এবং আমাদের স্কুলের গেট ময়লা-আবর্জনায় ভরে থাকে। স্কুলের বাচ্চাদের আসা-যাওয়ায় অনেক সমস্যা হয়। তিনি আরও বলেন, ‘এলাকার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বিমানবন্দর থানার পুলিশ কর্তৃপক্ষ, সিটি করপোরেশন বিভিন্ন সময়ে অনেকের কাছে বলেছি। মাঝে মাঝে এসব অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়, কিন্তু তারপর আবার দোকান বসে যায়।
স্কুলটিতে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। স্কুলের ভেতরের পরিবেশটাও বেশ সুন্দর করে গোছানো। তবে গলার কাঁটা যেন সবজির বাজার। এই অবৈধ বাজারের কারণে রাস্তার অর্ধেকটা বন্ধ হয়ে থাকে। বর্ষার সময় তো আরও খারাপ অবস্থা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ইব্রাহিম আহমেদ বলেন, বাজারের জন্য স্কুলের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। স্থায়ীভাবে স্কুলের সামনে থেকে কাঁচাবাজার অপসারণ করা প্রয়োজন। হজের সময় এলাকার অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করে জনগণের চলাচলের কত উপযোগী করা হয়। কিন্তু পরেই আবার আগের মতো হয়ে যায়।
উচ্ছেদ কার্যক্রমের বিষয়ে বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আজম মিয়া প্রথম আলোক বলেন, পুলিশের অভিযান চলছে এবং চলবে। অভিযানের সময় তারা উঠে যায়। এরপর আবার বসে। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাজের পাশাপাশি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তেরও একটা ব্যাপার আছে।’